কথা: প্রশাসনিক বৈঠক চলার সময় পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের বিধানসভা এলাকা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার উত্তরকন্যায় জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে ওই এলাকার দুই পুলিশ আধিকারিক ভক্তিনগর থানার আইসি অনুপম মজুমদার ও নিউ জলপাইগুড়ি থানার ওসি অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দাঁড় করিয়ে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘদিন থেকেই ওই এলাকায় জমি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে অভিযোগ উঠছিল। সরকারি জমি দখল করে মোটা টাকায় তা বিক্রি করে দিচ্ছিল একটি চক্র। পুলিশের একটা অংশ জমির কারবারিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পরেছে বলেও অভিযোগ জমা পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এমনকী, তৃণমূলের সেবক রোড এলাকার এক নেতার বিরুদ্ধেও অভিযোগ পৌঁচেছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। দলীয় সূত্রের খবর, ওই অভিযুক্ত নেতা জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী গৌতম দেবের নাম করে নানা থানায় ফোন করে জমি জটের ‘রফা’র চেষ্টা করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। দলীয় সূত্র অনুযায়ী, খোদ গৌতমবাবু পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর নামে কেউ ফোন করে জমি বিষয়ে রফা করতে চাইলে যেন গুরুত্ব দেওয়া না হয়।
সরকারি সূত্রের জানা গিয়েছে, এই প্রেক্ষাপটে কড়া ভাষায় পুলিশকে সতর্ক করেছেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পুলিশকে সতর্ক করার মধ্য দিয়ে ঘুরিয়ে পর্যটনমন্ত্রী ও দলীয় নেতৃত্বকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিলেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। পুলিশের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন,‘‘জমি মাফিয়াদের কোন কারবার মানব না। কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। কড়া ব্যবস্থা নিন।’’
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় জমির কারবারের অভিযোগ নতুন নয়। ওই এলাকায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের কয়েকশো একর সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে কয়েক মাস আগে সরকারি স্তরে রিপোর্ট জমা পড়েছে। প্রকল্পের জমি নিয়ে পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও সেচ দফতর। প্রকল্পের জন্য অধিগৃহীত কয়েক হাজার একর জমি মিউটেশন না হওয়ায় একটি বেসরকারি সংস্থাকে সেই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিল সেচ দফতর। তার পরই সামনে আসে জমি দখলের ছবি। সে সময়ে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ডিজিকে তদন্তের নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তা সত্ত্বেও ওই এলাকায় ইস্টার্ন বাইপাসের দুইধারের জমি বিক্রি নিয়েও প্রচুর অভিযোগ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy