কুড়ি বছর পার করল তৃণমূল।
তপসিয়ার তৃণমূল ভবন-সহ রাজ্যের সর্বত্র সোমবার দলের ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করলেন তৃণমূল কর্মীরা। নানা রকম সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এলাকায় এলাকায় জনসংযোগে গুরুত্ব দিলেন নেতা-কর্মীরা। আর টুইটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘দলের কর্মীরাই আমাদের সম্পদ। মা-মাটি-মানুষের কাছে আমরা দায়বদ্ধ।’’
পঞ্চায়েত ভোটের কয়েক মাস আগে দলের সব স্তরের কর্মীদের যে তিনি আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ এবং সংগঠিত রাখতে চাইছেন, তা মমতার এই বার্তাতেই স্পষ্ট। পঞ্চায়েত ভোট চলতি বছরে, আগামী বছর লোকসভা ভোট। সে কথা মাথায় রেখে কয়েক মাস আগে দলের কোর কমিটির এক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, দলের কর্মীরাই তৃণমূলের শক্তি। দলের কোথাও কোনও গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব বা অসন্তোষ যাতে দানা না বাঁধে, তার জন্য বারবার করে নেতা-কর্মীদের সতর্কও করছেন তিনি। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে দলের কোনও স্তরের কোনও কর্মী যাতে দলের প্রতি অভিমানে অন্য কোথাও চলে না যান, সেই অনুরোধও তিনি বারবার জানিয়েছেন।
মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়ার পরেও বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে তৃণমূল অন্দরে কিছুটা সন্দেহের বাতাবরণ আছে। সে দিকে নজর রেখেই মমতা দলের কর্মীদের আরও বেশি সঙ্ঘবদ্ধ রাখতে জোর দিচ্ছেন বলে শাসক শিবিরের মত। তৃণমূল ভবনে দলের পতাকা উত্তোলন করে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীও বলেন, ‘‘কেন্দ্রের সাম্প্রদায়িক শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কন্ঠ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই প্রতিবাদের লড়াই বাংলা ছাড়িয়ে ভারতের প্রান্তে প্রান্তে পৌঁছতে শুরু করেছে। আমরা চাই, ওই সাম্প্রদায়িক শক্তির উৎখাতে আমাদের নেত্রীই নেতৃত্ব দিন। মানুষ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে নেত্রীর লড়াইয়ে সাহায্য করুন।’’
পাশাপাশিই প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের অবসরে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিমের দাবি, ‘‘সব পঞ্চায়েত আমাদেরই থাকবে। আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভারতের দায়িত্ব নিতে হবে।’’ তাঁর ওই মন্তব্যের লক্ষ্য অবশ্যই পরবর্তী লোকসভা ভোট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy