—প্রতীকী ছবি
মাস দেড়েক আগে বোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এ বার গলায় দড়ি দেওয়া দেহ উদ্ধার হল দিদির। প্রতিমা মণ্ডল (২৫) নামে ওই তরুণীকে খুনের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে স্বামী সৌরভকে। সৌরভই প্রতিমার বোন সুষমাকে ধর্ষণের পরে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিল বলে অভিযোগ পরিবারের।
বছর সাতেক আগে বনগাঁর প্রতিমাকে ভালবেসে পালিয়ে বিয়ে করেছিল স্থানীয় যুবক সৌরভ। পরে মেয়ের বাড়ি থেকে তা মেনেও নেওয়া হয়। সমস্যা বাধে বছর দু’য়েক আগে। থানায় লিখিত অভিযোগে প্রতিমার বাবা জানিয়েছেন, পারিবারিক অশান্তির জেরে বছর দু’য়েক আগে জামাই-মেয়ের অশান্তি বাধে। কী নিয়ে অশান্তি, বুঝতে পারেননি কেউ। মাস দু’য়েক আগে প্রতিমার বোন বছর কুড়ির সুষমা বাবাকে জানান সে কথা। পুলিশে কাছে দায়ের করা অভিযোগে প্রতিমার বাবা জানিয়েছেন, বছর চারেক আগে সৌরভ তাঁর ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল। সেই ছবি মোবাইলে তুলে রাখে। পরবর্তী সময়ে ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
বিষয়টি প্রতিমা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন। সেখান থেকেই অশান্তির শুরু।
সম্প্রতি সৌরভ শ্যালিকাকে তার কাছে যাওয়ার জন্য ফের জোরাজুরি করছিল। সুষমা রাজি না হওয়ায় ছবি ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেবে বলে আবারও হুমকি দেয় সৌরভ। বাবার অভিযোগ, এ সবের জেরেই আত্মহত্যা করে ছোট মেয়ে। তার পরে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন না কেন? প্রতিমার বাবার যুক্তি, ‘‘৩০ অগস্ট ছোট মেয়ে আত্মহত্যা করার পরে আমরা ভেবেছিলাম, সৌরভের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বড় মেয়ের সংসারটাও ভেঙে যাবে।’’
৫ অক্টোবর সৌরভ স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে রেখে যায়। অভিযোগ, ফোনে সৌরভ স্ত্রীকে নানা ভাবে হুমকি দিত। শনিবার সকালে প্রতিমার বাবা-মা মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন, বড় মেয়ে রান্নাঘরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রতিমার বাবার কথায়, ‘‘প্রতিবেশীরা দেখেছেন, আমরা যখন মাঠে ছিলাম, সৌরভ বাড়ি এসেছিল। ও-ই মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে।’’ দেড় মাসের ব্যবধানে দুই সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পরিবার। সৌরভের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তাঁরা।
(প্রতিমা ও সুষমার নাম পরিবর্তিত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy