পীযূষ গয়াল।
বার্ন স্ট্যান্ডার্ডকে বাঁচানোর কোনও পরিকল্পনাই যে কেন্দ্রের নেই, সোমবার তা স্পষ্ট করে দিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। ছোট ব্যবসায়ীদের আরএসএস প্রভাবিত সংগঠন ‘লঘু উদ্যোগ ভারতী’-র সঙ্গে একটি আলোচনা সভায় পীযূষ এ দিন যোগ দেন। কলকাতার ভাষা পরিষদে ওই সভায় ‘ভারতী’র এক সদস্য তাঁকে অনুরোধ করেন, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কারখানা বাঁচাতে কেন্দ্র সক্রিয় হোক। জবাবে রেলমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কি কর দেন?’’ প্রশ্নকর্তা জানান, নিশ্চয়ই। তখন রেলমন্ত্রী তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কি চান, আপনার করের টাকা বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের মতো লোকসানে চলা সংস্থা, যেখানে অল্প কয়েক জন কর্মী কাজ করেন, তা বাঁচাতে ব্যয় হোক? না কি চান, গরিবদের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছতে
ব্যয় হোক?’’
কেন্দ্র বার্ন বন্ধ করে কর্মী এবং অন্যদের পাওনা মেটাতে ইতিমধ্যেই ৪১৭ কোটি টাকার তহবিল গড়েছে। বার্ন স্ট্যান্ডার্ড বাঁচানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার দিল্লির কাছে দরবার করেছিলেন। বস্তুত, মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীনই ২০১০ সালে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড অধিগ্রহণ করেন। পীযূষের বক্তব্য জেনে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ এখানেই। কেন্দ্র চাইলে বেশি বরাত দিয়ে বার্নকে বাঁচাতে পারত। আর রাজ্য সরকার ব্রিটানিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং, তন্তুজের মতো দুর্বল সংস্থাকে বাড়তি বরাত দিয়ে বাঁচাচ্ছে।’’ শোভনদেববাবুর আরও ব্যাখ্যা, ‘‘এখন শুধুই পুঁজিবাদীদের স্বার্থ দেখা হচ্ছে।’’
তবে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রের বার্ন স্ট্যান্ডার্ড বন্ধ করার সিদ্ধান্তে আর বদল হবে না। সেখানকার কর্মীরা ভিআরএস প্যাকেজে অসন্তুষ্টও নন। আর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েই যা হওয়ার, হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy