প্রতীকী ছবি।
বংশের মধ্যে সেই প্রথম মাধ্যমিকের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। কিন্তু এক বার মাধ্যমিকে পাশ করতে পারেনি বলে, তার বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়ে গিয়েছিল পরিবারে। বাবাকে বোঝাতে না পেরে পানজিরেন খাতুন নামে ওই নাবালিকা শেষ পর্যন্ত চলে গিয়েছে নিজের স্কুলেই। উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক বাসুদেব দে-কে চিঠিতে পানজিরেন লিখেছে, ‘আমি আবার পরীক্ষায় বসতে চাই। কিন্তু আমার বাবা আমাকে সেই সুযোগ না দিয়ে আমার বিবাহ দিতে চাইছেন। পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে বাধিত করবেন।’ বাসুদেববাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই ছাত্রী আমার গর্ব।’’
চাকুলিয়ার ডাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা পানজিরেন চার ভাইবোনের মধ্যে মেজো। বাবা মহম্মদ নুরউদ্দিন দিনমজুরের কাজ করেন। পানজিরেনের স্বপ্ন একটাই, আরও পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে।
কিন্তু নুরউদ্দিনের বক্তব্য, ‘‘অত আমার ক্ষমতা নেই। ভাল পাত্র পেয়ে ভেবেছিলাম মেয়ের বিয়ে দেব।’’ সে কথা জানতে পেরেই বেঁকে বসে পানজিরেন। বান্ধবীদের সাহায্য নিয়ে সে কথা প্রশাসনের কানে পৌঁছে দেয়। গোয়ালপোখর ২ যুগ্ম বিডিও মলয় সরকার সে কথা শুনে তাদের বাড়িতে যান। নুরউদ্দিনকে বোঝান, মুচলেকাও লিখিয়ে নেন। কিন্তু পানজিরেন তাতেও স্বস্তি পায়নি। মঙ্গলবার সকালে সে এক বান্ধবীকে নিয়ে সোজা চলে যায় বাসুদেববাবুর কাছে। বাসুদেববাবু আজ বুধবার নুরউদ্দিনকে ডেকে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ছেলের নাবালিকা সহপাঠিনীকে যৌন নির্যাতনে ধৃত বিজেপি কর্মী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy