প্রতীকী ছবি।
সময়ের আগে কেরলে ঢুকেছিল। কিন্তু পথে দেরি হয়ে গিয়েছে বর্ষা এক্সপ্রেসের। ঢিমেতালে চলে অবশেষে বাংলার দোরগোড়ায় হাজির সে। এ বার শুধু ঢুকে পড়ার অপেক্ষা!
শনিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এ রাজ্যে ঢুকে পড়তে চলেছে বর্ষা। বস্তুত, এ দিন দুপুর থেকেই বর্ষার আগমনী টের পাওয়া গিয়েছে আবহাওয়ায়। গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় দফায় দফায় প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ, রবিবার বৃষ্টির মাত্রা আরও বা়ড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ রয়েছে। সেটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেবে। তার ফলে বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে। গভীর নিম্নচাপটি স্থলভূমির দিকে সরে আসলেই পিছু নিয়ে বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে। ‘‘তার পরে বর্ষা উত্তরবঙ্গ এবং পূর্ব ভারতের বাকি রাজ্যগুলিতেও ছড়াতে থাকবে,’’ বলেন গণেশবাবু। নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, ১ জুন কেরলে ঢোকে বর্ষা। ৮ জুন গাঙ্গেয় বঙ্গে বর্ষা ঢোকার দিন। কিন্তু এ বছর কেরলে বর্ষা ঢুকেছে নির্দিষ্ট সময়ের তিন দিন আগে। সেই হিসেবে ৫ জুন এখানে বর্ষা ঢোকার কথা। কিন্তু নির্দিষ্ট দিন (৮ জুন) পেরিয়ে গেলেও বর্ষা এখনও ঢোকেনি।
এ দিন রেডার চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহবিদেরা জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের আকাশে প্রচুর মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল। তা থেকেই প্রবল বর্ষণ হয়েছে। হাওয়া অফিসের হিসেবে, বিকেল সা়ড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কলকাতায় ২২.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এক পশলা জোরালো বর্ষণে মহানগরের বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে যায়। যানজটেও ভুগতে হয় মানুষজনকে। তবে বর্ষার আগমনীতেই কিছুটা হলে স্বস্তির বার্তা মিলেছে। এ বছর গরম সে ভাবে না পড়লেও গত ক’দিনে মাত্রাতিরিক্ত আর্দ্রতায় নাকাল হচ্ছিলেন বঙ্গের বাসিন্দারা। প্রবল বর্ষণে সেই অস্বস্তির হাত থেকেও রেহাই মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy