ছবি পিটিআই।
আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে গাঙ্গেয় বঙ্গের একাংশে বর্ষা ঢুকতে চলেছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বুধবার কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত ও সিকিমে বর্ষা ঢুকবে। তার পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের একাংশে বর্ষা ঢুকবে। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত কোথাও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস নেই। তবে আজ, বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আমপানের প্রভাবে বঙ্গের উপকূলীয় তিনটি জেলা বিধ্বস্ত। তার উপরে ক’দিন আগেই জোয়ারের জলে বাঁধ ভেঙে ফের জলমগ্ন হয়েছে বহু গ্রাম। এই পরিস্থিতিতে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস নেই শুনে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বর্ষা ইতিমধ্যেই মিজোরাম, অসম, ত্রিপুরা ও মণিপুরের একাংশে ঢুকেছে। বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে এবং সেটি আরও কিছুটা শক্তি বাড়াবে। তার প্রভাবে ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্র উপকূলে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবার ওই দুই রাজ্যের একাংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কাল, শুক্রবার তেলঙ্গানা এবং মধ্য ভারতের একাংশে বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহবিজ্ঞানীরা জানান, মৌসম ভবনের নতুন নির্ঘণ্ট অনুযায়ী সাধারণত ১১ জুন বাংলায় বর্ষা ঢোকার কথা। সেই হিসেবে মোটের উপরে ঠিক সময়ে বর্ষা আসতে চলেছে। বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটির প্রভাবেই মৌসুমি বায়ু গতি পেয়েছে বলে আবহবিদদের একাংশ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মানুষের পাশে দাঁড়াতে শেখাচ্ছেন প্রকাশকান্তি
বর্ষা আসার আগে যে প্রাক্-বর্ষা পরিস্থিতি আবহাওয়ায় দেখা যায়, তারও ইঙ্গিত মিলেছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা ঘনীভূত হয়ে মেঘ তৈরি হচ্ছে। তবে কালবৈশাখী ঝড় তেমন ভাবে নজরে আসছে না। বায়ুপ্রবাহের চরিত্রেও একটা বদল দেখা যাচ্ছে। বর্ষার আগেই এই বদল লক্ষ্য করা যায় বলে আবহবিদেরা জানান। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, এ দিনও গাঙ্গেয় বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আকাশে কালো মেঘ জমতে দেখা গিয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টিও হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy