ছবি: সংগৃহীত।
জুলাই মানে অর্ধেক আষাঢ়। জুলাই মানে অর্ধেক শ্রাবণও। বঙ্গীয় পঞ্জিকা অনুযায়ী বর্ষাকাল। সেই আষাঢ় এসে চলেও গিয়েছে। শ্রাবণেরও কেটে গিয়েছে একটি সপ্তাহ। কিছু দেরি হলেও খাতায়-কলমে বর্ষা এসেছে। শুধু বর্ষণই যা নেই। এ বার জুলাইয়ে বিশেষত দক্ষিণবঙ্গে এ-পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। এমন শুখা জুলাই পাঁচ বছরে দেখেনি গাঙ্গেয় বঙ্গ! বৃষ্টি-ঘাটতি বাড়ছে চড়চড়িয়ে।
দিল্লির মৌসম ভবন বলছে, গাঙ্গেয় বঙ্গে গত পাঁচ বছরে কোনও জুলাইয়ে বৃষ্টির পরিমাণ এত কম ছিল না। জুনে গাঙ্গেয় বঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল ৫৮ শতাংশ। জুলাইয়ে ঘাটতির সেই ধারা অব্যাহত। অথচ গত পাঁচ বছরে জুলাইয়ের নিরিখে গাঙ্গেয় বঙ্গে বৃষ্টির সর্বাধিক ঘাটতি ছিল মাত্র ৯%। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে ৮৮% এবং ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ৪৮% অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছিল।
আবহবিদেরা বলছেন, বৃষ্টি-ঘাটতি চলছে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বিভিন্ন রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাংশের অবস্থা সব থেকে খারাপ। এখানে ঘাটতি প্রায় ৫৫%। তবে উত্তরবঙ্গে জোর বৃষ্টি হওয়ায় রাজ্যে সামগ্রিক ভাবে বৃষ্টি-ঘাটতি নেমে এসেছে ৩৬ শতাংশে। আবহবিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সে-ভাবে সক্রিয় হচ্ছে না। বিশেষ করে গাঙ্গেয় বঙ্গের কাছে কোনও ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ দানা না-বাঁধায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আশ্বাস, অবশেষে একটি ঘূর্ণাবর্ত দানা বাঁধছে বঙ্গোপসাগরে। তার সৌজন্যে কাল, শুক্রবার থেকে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। কিছু কিছু জেলায় বৃষ্টি হয়েছে বুধবারেও।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy