ফাইল চিত্র।
পুনর্গঠন হল পূর্ত দফতরের। সড়ক, বাড়ি নির্মাণ এবং সামাজিক ক্ষেত্রের প্রকল্পগুলি নিয়ে তৈরি হওয়া ডিরেক্টরেটগুলির কাঠামো বদল করা হয়েছে। সব দফতরের নির্মাণকাজের জন্য দু’টি ডিরেক্টরেট তৈরি করা হয়েছে পূর্ত দফতরে। আগে রাজ্যকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করে কাজকর্ম পরিচালনা হত। এ বার পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে আলাদা সেতু বিভাগ। পূর্ত দফতরে পৃথক তথ্যপ্রযুক্তি সার্কেলও তৈরি করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
পূর্ত দফতরে আগে পূর্ত এবং পূর্ত (সড়ক) ডিরেক্টরেট ছিল। ওই দফতরের মধ্যেই কার্যত স্বাধীন ভাবে চলত পূর্ত (সামাজিক ক্ষেত্র) শাখা। সব ধরনের সরকারি বাড়ি ও কিছু রাস্তা তৈরি এবং সরকারি সামাজিক প্রকল্পের নির্মাণকাজ করত পূর্ত দফতর। এ ছাড়া ছিল পূর্ত (সড়ক) বিভাগ। এই বিভাগ শুধু সড়ক তৈরির কাজ করত। নতুন বিন্যাসে রাজ্যে দু’টি ডিরেক্টরেটই থাকছে। তবে পূর্ত (সামাজিক ক্ষেত্র) নামে চলা কার্যত স্বাধীন শাখাটিকে পূর্ত বিভাগের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পূর্ত বিভাগ যে-সব রাস্তা তৈরি করেছে বা যে-সব রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে, তার দায়িত্ব যাচ্ছে পূর্ত (সড়ক) বিভাগের হাতে। এখন থেকে পূর্ত (সড়ক) বিভাগ ছাড়া অন্য কোনও শাখা রাস্তা তৈরি করবে না।
আলাদা সেতু ডিরেক্টকেট তৈরি করার কথা ছিল। সেটি আপাতত হচ্ছে না। তবে পূর্ত (সড়ক) ডিরেক্টরেটের মধ্যেই সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে পূর্ত (সেতু) শাখা তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যের নতুন সেতু তৈরি এবং ১৬০০ সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ করবে এই শাখা। পূর্ত বিভাগের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে পৃথক তথ্যপ্রযুক্তি শাখা। এত দিন তা ইলেট্রিক্যাল শাখার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
পূর্ত দফতরের খবর, সারা রাজ্যে কাজ ভাগাভাগি করার জন্য এত দিন তিনটি আঞ্চলিক অফিস ছিল। সেগুলির মাথায় থাকতেন চিফ ইঞ্জিনিয়ারেরা। উত্তর, দক্ষিণ এবং পশ্চিম এই তিনটি অঞ্চল ভেঙে উত্তর, মধ্য, পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণ আঞ্চলিক অফিস তৈরি করা হচ্ছে। কাজে গতি আনার জন্য বিভিন্ন স্তরে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হবে বলে জানাচ্ছেন পূর্তকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy