ছবি: সংগৃহীত।
নানান সমস্যা বা বিপদে পড়লে নাগরিকেরা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। জনতার স্বাস্থ্যরক্ষায় প্রশাসনকে কড়া নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই উচ্চ আদালতেরই শৌচাগার-সহ জনস্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার ‘বেহাল দশা’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন ইকবাল কবীর নামে এক আইনজীবী। সেই মামলায় শুক্রবার একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই কমিটির আহ্বায়ক নিযুক্ত হয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।
হাইকোর্টের নির্দেশ, অ্যাডভোকেট জেনারেল ছাড়াও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল, হাইকোর্টের তিনটি আইনজীবী সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক এবং প্রতিটি সংগঠন থেকে এক মহিলা ওই কমিটিতে থাকবেন সদস্য হিসেবে। হাইকোর্টের ‘লেডিজ় বার’ থেকেও এক জন প্রতিনিধি থাকবেন। পরবর্তী শুনানির দিন কোর্টে একটি রিপোর্ট দেবে কমিটি।
মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ় এডুলজি বলেন, ‘‘হাইকোর্টের শৌচাগার-সহ সামগ্রিক পরিচ্ছন্নতা নিয়ে মামলা হয়েছে। সেই সমস্যার সুরাহায় কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা স্থির করবে কমিটিই। তবে আমাদের তরফেও কয়েক দফা সুপারিশের উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনপত্রে।’’
ওই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, শৌচাগারের বেহাল দশার পাশাপাশি এসক্যালেটরে সমস্যা রয়েছে। হাইকোর্টের দেওয়ালে যত্রতত্র পোস্টার সাঁটানো। হাইকোর্টের বিদ্যুতের ওয়্যারিং নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী। শৌচাগারে স্বয়ংক্রিয় ফ্লাশ, পর্যাপ্ত তরল সাবান রাখার মতো বেশ কয়েকটি সুপারিশও করেছেন তিনি। শৌচাগার নিয়ে সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় হাইকোর্টের মহিলা আইনজীবী এবং মামলার কাজে আসা মহিলাদের। রাজ্যশ্রী মুখোপাধ্যায় নামে এক ‘ল-ইয়ার’ বলেন, ‘‘মেয়েদের শৌচাগারের এমনই দুর্দশা যে, বমি আসে। সেখানকার নোংরা থেকে আমাদের সংক্রমণও হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy