Advertisement
০৭ মে ২০২৪
NIA

১১ বছরের পুরনো ঘটনায় নতুন মামলা

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, লকডাউন চলাকালীন ওই মামলার তদন্ত ভার নেয় এনআইএ। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, দাঙ্গা, ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা-সহ আটটি ধারায় নতুন করে দু’টি মামলা দায়ের করেছে এনআইএ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ও ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০৬:১৮
Share: Save:

জঙ্গলমহলে রাজধানী এক্সপ্রেসের দুই চালককে মাওবাদীদের পণবন্দি করার ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় ১১ বছর। সেই ঘটনাতেই ফের নতুন মামলা রুজু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তার পাশাপাশি ২০০৯ সালে প্রবীর মাহাতো-সহ দুই সিপিএম কর্মীকে খুনের ঘটনাতেও নতুন মামলা রুজু করেছে এনআইএ। সূত্রের খবর, এই ঘটনাগুলির তদন্তে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরে যায় এনআইএ-র চার সদস্যের একটি দল। তাঁরা স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে ওই মামলার অভিযুক্তদের বিষয়ে কথা বলেন ও মামলার নথি সংগ্ৰহ করেছেন।

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, লকডাউন চলাকালীন ওই মামলার তদন্ত ভার নেয় এনআইএ। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, দাঙ্গা, ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা-সহ আটটি ধারায় নতুন করে দু’টি মামলা দায়ের করেছে এনআইএ। ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের চালককে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রায় আট ঘণ্টা আটকে রেখেছিল মাওবাদীরা। ওই দিন ছত্রধর মাহাতোর মুক্তির দাবিতে ‘পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণের কমিটি’ জঙ্গলমহলে বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল। পরে যৌথবাহিনী মাও-কমিটির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে চালকদের মুক্ত করে এবং ট্রেনটি ফের রওনা দেয়।

সূত্রের দাবি, রেলের ঘটনায় সিআরপিএফ ‘জনসাধারণের কমিটি’র নামে অভিযোগ দায়ের করে। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ জনসাধারণের কমিটির একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করে এবং পরে আদালতে চার্জশিটও জমা দেয়। সিপিএম কর্মী খুনের ঘটনাতেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় এবং চার্জশিট জমা পড়ে।

বাম আমলে জঙ্গলমহলে তৈরি হওয়া ‘পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জন সাধারণের কমিটি’র অনেকেই ২০১১ সালের পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। জঙ্গলমহলে এখন কমিটির অস্তিত্ব নেই। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে লালগড়ে থাকছেন ছত্রধরও। তাঁর বিরুদ্ধে ৩৯টি মামলা থাকলেও ২০১১ সালের পরে একের পর এক মামলায় ‘নির্দোষ’ প্রমাণিত হয়েছেন। বিধানসভা ভোটের মুখে তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনআইএ তদন্তের পিছনে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ দেখছেন ছত্রধর। তিনি বলছেন, ‘‘আমাকে হেনস্থার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে ফের তদন্ত করানো হচ্ছে।’’ তাঁর আইনজীবী কৌশিক সিংহ বলেন, ‘‘দু’টি মামলাই দায়রা আদালতে বিচার শুরুর মুখে রয়েছে। পুনর্তদন্ত দ্রুত বিচার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে।’’

পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাংশ মনে করেন, মাওবাদী এবং কমিটির নেতাদের অনেকের বিরুদ্ধেই যথাযথ তদন্ত হয়নি। ফলে ছাড়া পেয়েছেন তাঁরা। তাঁদের আশা, এনআইএ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NIA Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE