প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল যাওয়ার শেষ লোকাল ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎই মাইকে ঘোষণা শোনা গেল— ট্রেনটি শেওড়াফুলি স্টেশন পর্যন্ত যাবে। হলও তা-ই। ব্যান্ডেল লোকাল শেষ পর্যন্ত শেওড়াফুলি স্পেশ্যাল হয়ে স্টেশন ছাড়ল। আর তার জেরে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হল বৈদ্যবাটী থেকে ব্যান্ডেল পর্যন্ত স্টেশনের কয়েকশো যাত্রীকে।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, চন্দননগরে একটি ওভারব্রিজের কাজ চলায় ওভারহেড লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হয়। যে কারণেই শেওড়াফুলির পরে আর ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি।
যাত্রীদের অভিযোগ, হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে মাঝেমধ্যেই এই তুঘলকি কাণ্ড চলে। আগাম কোনও ঘোষণা ছাড়া শেষ ট্রেন বাতিল করে দেওয়ার মতো ঘটনাও সম্প্রতি ঘটেছে। নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। এ দিনও রাতের শেষ ট্রেনটি ব্যান্ডেল পর্যন্ত না যাওয়ায় বহু যাত্রীকে শেওড়াফুলি স্টেশনে রাত কাটিয়ে ভোরের প্রথম ট্রেনে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির রাতে অন্য কোনও যানবাহন পাবেন না জেনে কেউ কেউ হাওড়া স্টেশনেই থেকে যান।
রেলের নিয়ম অনুযায়ী, খুব জরুরি প্রয়োজন না-হলে দিনের প্রথম ও রাতের শেষ ট্রেন বাতিল করা হয় না। বাতিল যদি করতেও হয়, আগাম বিজ্ঞাপন দিতে হয়। সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতিও দিতে হয়। কিংবা যে লাইনের ট্রেন, সেই স্টেশনগুলিতে অনেক আগে থেকে বার বার ঘোষণা করতে হয়। যাত্রীদের দাবি, ইদানিং সে সব ছাড়াই ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। শুক্রবার হাওড়া স্টেশন থেকে আগের ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার পরে ঘোষণা করা হয়, শেষ ট্রেন শেওড়াফুলি স্টেশনের পরে আর যাবে না। অনেক যাত্রী রেলের অনুসন্ধান নম্বরে ফোন করেন। কিন্তু অভিযোগ, কেউ ফোন তোলেননি। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ অফিসারের মোবাইল ফোনও বেজে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy