— ফাইল চিত্র।
শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে জেসপ কোম্পানির কাছে পাওনা ১২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৩৫ টাকা দাবি করে দমদমে কারখানার তিন নম্বর গেটে নোটিস টাঙালো কেন্দ্রীয় জিএসটি কমিশনারের দফতর। একই সঙ্গে বকেয়া বাবদ যে সুদ হয়, তা-ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে বলে জানিয়েছে তারা। ফেব্রুয়ারিতে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশ জারি করেছেন সিজিএসটি-র শ্যামবাজার খড়দহ শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। সেই নির্দেশের প্রতিলিপিই কারখানার গেটে টাঙানো হয়েছে।
নোটিসের বক্তব্য, রেলের থেকে ২০০৬-এ ওয়াগন এবং ইএমইউ তৈরির বরাত পায় জেসপ কারখানা। তার জন্য রেল কারখানা জেসপ কর্তৃপক্ষকে বিনামূল্যে যে কাঁচামাল দিয়েছিল, তার উপরে শুল্ক বাবদ যে পাওনা হয়, তা মেটানো হয়নি। নোটিসে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে রেলবোর্ডের নির্দেশেও কর্ণপাত করা হয়নি। যে ভাবে শুল্ক ‘ফাঁকি’ দেওয়া হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় শুল্ক আইনের ৬ নম্বর ধারার পরিপন্থী।
পাঁচ বছর আগে বকেয়া শুল্কের ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে একটি কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় শুল্ক কমিশনারের দফতর। জবাবে জেসপ কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১১-র সেপ্টেম্বরের আগে তাঁরা বিনামূল্যে কাঁচামালের মূল্য সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। লিখিত বক্তব্যে বরাত অনুযায়ী, উৎপাদনের ক্ষেত্রে রেল ও কারখানা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কী ছিল, তারও উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে কারখানার আর্থিক দূরবস্থা বিচার করে বিষয়টি বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। ২০১৭-র ২৪ অক্টোবর এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে দু’বার শুনানির দিন ধার্য হলেও সেখানে জেসপের প্রতিনিধি হাজির ছিলেন না। ফেব্রুয়ারিতে ওই নির্দেশ জারি হলেও দু’দিন আগে নোটিসটি কারখানার গেটে টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
নির্দেশে বলা হয়েছে, নোটিসে সংস্থার বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, কাঁচামালের উপরে শুল্ক যে দিতে হবে, তা কারখানা কর্তৃপক্ষের অজানা নয়। বকেয়া শুল্ক নিয়ে রেল মন্ত্রকের কোর্টে যে ভাবে বল ঠেলার চেষ্টা করা হয়েছে, তা-ও ঠিক নয়। ফলে উৎপাদনকারী সংস্থা জেসপ কর্তৃপক্ষকেই বকেয়া মেটাতে হবে।
কারখানার গেটে নোটিস টাঙানো নিয়ে জেসপ কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার ওই নোটিস টাঙানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারির নির্দেশ এত দিন পরে কেন টাঙানো হল, তা বোধগম্য হচ্ছে না। পুজোর পরে কারখানা খোলার একটা সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল। এই নোটিসে নতুন করে জটিলতা তৈরি হতে পারে।’’ এ বিষয়ে জেসপ কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করা হলেও কথা বলার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy