প্রতীকী ছবি।
ফার্মাকোলজিস্টদের সর্বভারতীয় সম্মেলনের বিষয় ছিল, চিকিৎসাক্ষেত্রে ওষুধের ব্যবহার কী ভাবে আরও যুক্তিসম্মত ও বিজ্ঞানভিত্তিক করা যায়। এ রাজ্যে সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ যথাযথ প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন না বলে সেখানে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।
স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের উদ্যোগে সায়েন্স সিটিতে শুক্র ও শনিবার ছিল ‘ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর র্যাশনাল ফার্মাকোথেরাপিউকস’এর বার্ষিক সম্মেলন। ফার্মাকোলজিস্টদের সম্মেলনে সরকারি চিকিৎসকদের যথাযথভাবে প্রেসক্রিপশন না করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, ‘‘রোগীর ডেঙ্গি হয়েছে। তবুও দু’রকম অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। দু’টি পরস্পর বিরোধী ওষুধ দিলে কী হতে পারে চিকিৎসকেরা তা-ও ভুলেছেন!’’
রাজ্যে বিনামূল্যের ওষুধ নীতিতে যুক্তিসঙ্গত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক প্রেসক্রিপশনের অভাব কী ভাবে প্রভাবিত করছে, তা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, গত বছর যে ওষুধ সবচেয়ে বেশি সংগৃহীত হয়েছে তা হল অ্যান্টিবায়োটিক অ্যামোক্সিলিন। খরচের পরিমাণ ৩৫ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে ভিলডাগ্লিপটিন। খরচ ২৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলের তরুণদের স্বনির্ভরতার দিশা দেখান শিক্ষক
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, পরিস্থিতি এমনই যে বিনামূল্যের ওষুধ নীতি চালিয়ে যেতে ‘প্রেসক্রিপশন অডিট’এর কথা ভাবা হচ্ছে। স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, ডায়াবেটিসের ওষুধ ভিলডাগ্লিপটিনের পরিবর্তে স্বল্পমূল্যের বিকল্প ওষুধ রয়েছে। কিন্তু সে সব ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হচ্ছে না। ওষুধের অপচয়ে কমাতে ফার্মাকোলজিস্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
ট্রপিক্যালের ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধান শান্তনু ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘রোগীর যাতে ওষুধ থেকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম হয় তা দেখতে হবে। রোগী কী কী ওষুধ খাচ্ছেন তা না জানলে পুরনো ওষুধের সঙ্গে নতুন ওষুধের বিরোধ তৈরি হতে পারে। তবে এটাও ঠিক কথাটা বলা যত সহজ বাস্তব তা নয়।’’
পরে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, ‘‘প্রেসক্রিপশন ঠিক মতো হচ্ছে কি না, সকলকে নজর দিতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে কমদামি ওষুধেই কাজ হয়। মশা মারতে কামান দাগার প্রয়োজন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy