প্রতীকী ছবি।
যাত্রী পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে রেল তাদের হাসপাতালে রোগী-পরিষেবাও দেয়। সারা দেশে তাদের যে-সব হাসপাতালে তিনশোর বেশি শয্যা রয়েছে, সেগুলোর পরিকাঠামো ব্যবহার করে এ বার স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল পঠনপাঠন শুরু করতে চাইছে রেল। এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে সেই সব হাসপাতাল অচিরেই হয়ে উঠবে মেডিক্যাল কলেজ।
চিকিৎসা ছাড়াও স্নাতকোত্তর পঠনপাঠন এবং গবেষণার কাজে রেলের হাসপাতাল ব্যবহৃত হলে রেলকর্মীরা তো বটেই, উপকৃত হবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারাও। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলির মানও অনেকটা উন্নত হবে বলেই মনে করছেন রেলকর্তারা। “রেলের হাসপাতালে পঠনপাঠন ও চিকিৎসা-গবেষণার কাজ শুরু করা গেলে রেলকর্মীরা ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দারা তার অনেকটা সুবিধে পাবেন,” বলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ।
রেল বোর্ড এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রেল জ়োন বা অঞ্চলগুলিকে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ বা সমঝোতাপত্রের কাজ সেরে ফেলতে বলেছে। যাতে পঠনপাঠনের জন্য চিকিৎসক-শিক্ষকের ব্যবস্থা করা যায়। যাবতীয় শর্ত পূরণ করে অনুমতির জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে আবেদন করার কথা বলা হয়েছে। উত্তর রেলের অধীন দিল্লির কেন্দ্রীয় হাসপাতাল ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছে।
রেল সূত্রের খবর, সারা দেশে তাদের প্রথম সারির হাসপাতাল রয়েছে ১০টি। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এলাকায় রয়েছে তিনটি হাসপাতাল। প্রতিটিরই শয্যা-সংখ্যা তিনশোর বেশি। পূর্ব রেলের বিআর সিংহ হাসপাতালে ৪৬১টি শয্যা আছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গার্ডেনরিচ সদর হাসপাতালে শয্যা আছে ৩০৩টি। রেলের বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পরিষেবা পান সেখানে। খড়্গপুরে রেলের ডিভিশনাল হাসপাতালে আছে ৩৪০টি শয্যা। পরিষেবা পান ৫০ হাজার মানুষ। তিনটি হাসপাতালেই চিকিৎসার আধুনিক পরিকাঠামো রয়েছে। স্নাতকোত্তর পঠনপাঠন এবং গবেষণা শুরু হলে হাসপাতালগুলির চিকিৎসা পরিষেবা ও পরিকাঠামোর অনেকটাই উন্নতি হতে পারে।
এই বিষয়ে রেল বোর্ডের চিঠি গত মাসেই দক্ষিণ-পূর্ব রেলে পৌঁছেছে। গার্ডেনরিচ ও খড়্গপুরের হাসপাতাল নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। কী ভাবে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া বা এমসিআইয়ের শর্ত পূরণ করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রেল। বিআর সিংহ হাসপাতালের নামও আছে তালিকায়। তাই পূর্ব রেলও প্রাথমিক স্তরে কথাবার্তা শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy