ফাইল চিত্র।
স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁর। যা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে নানা বিতর্ক হয়েছে। সেই তিনি অর্থাৎ রত্না চট্টোপাধ্যায়, শোভনের ইস্তফার প্রসঙ্গ তুলতেই মঙ্গলবার বললেন, ‘‘এমনটা হওয়ারই ছিল।’’
এ দিন রত্না কলকাতাতে ছিলেন না। ছেলেকে নিয়ে মুম্বই গিয়েছিলেন। টেলিফোনে যোগাযোগ করতেই বললেন, ‘‘খবরটা পেয়েছি। আসলে শোভনবাবু নিজেই নিজের রাজনৈতিক জীবন শেষ করে ফেললেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে অনেক সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু উনি তাঁর পরেও নিজেকে শুধরে নেননি। তাই তাঁকে মন্ত্রীর পদ খোয়াতে হল।’’ রত্না জানান, মঙ্গলবার রাতেই তিনি কলকাতায় ফিরছেন।
রত্নাদেবীর আক্ষেপ, শোভনবাবু নিজের বিবেক মেনে কাজ করলে ভাল করতেন। অন্যের ইশারায় কাজ করে এই হাল হল তাঁর। রত্নার কথায়, ‘‘বাইশ বছর ধরে ঘর করেছি শোভনের সঙ্গে। ওঁর ভাল, খারাপ সব জানি। কত রাতে বাসন্তী, ক্যানিং ছুটে গিয়েছেন রাজনীতির টানে। আগুন লাগলে সারা রাত কাটিয়েছেন কর্তব্যরত মন্ত্রী হিসেবে। সে সব চোখের সামনে দেখেছি। কত দায়িত্ববান ছিলেন তখন! বিশেষ একজনের পাল্লায় পড়ে সেই মানুষটাকেই পাল্টে যেতে দেখলাম। তখন দিনের পর দিন পুরসভায় গরহাজির। কাজে মন নেই।’’ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী শোভনকে খুব স্নেহ করেছেন বরাবর। এমনকী শোভনের ‘বিচ্যুতি’ ঘটার পরও রত্নার কথায়, ‘‘দিদি বলেছিলেন, তুই মন দিয়ে কাজ কর কানন। তবুও নিজেকে বদলাননি শোভন। অনেক সুযোগ তাঁকে দিয়েছেন দিদি। কিন্তু তা রক্ষা করতে পারেননি শোভন।’’
আরও পড়ুন: বৈশাখী বিতর্কে শেষ পর্যন্ত সরতেই হল শোভনকে
আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবেরাও শোভনকে ‘সুবুদ্ধি’ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে রত্মার দাবি। তাতেও কান দেননি। বরং ওই শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। অনেককে বাড়িতে ঢুকতেও দিতেন না। রত্না বলেন, ‘‘ওঁর যাত্রার শুরুটা দেখেছিলাম। আবার সর্বনাশটা পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে দেখলাম। কিছু করার সুযোগ পেলাম না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy