মেখলা দাশগুপ্ত। মেখলার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া ছবি।
কালীপুজো উপলক্ষে দাঁতনে পুলিশের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘অভব্যতার’ অভিযোগ করেছিলেন এক মহিলা শিল্পী। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় তদন্তের প্রেক্ষিতে ‘দোষী’দের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
দাঁতন থানার কালীপুজোর জলসায় এসে নানা কটূক্তি শুনতে হয়েছিল রিয়্যালিটি শো খ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মেখলা দাশগুপ্তকে। তাঁর অভিযোগ, কেউ বলেছিল, ‘‘আমরা কীর্তন শুনতে আসিনি, নাচের গান করুন।’’
কেউ বলেছিল, ‘‘'যান ট্রেনে গিয়ে গান করুন।’’ ফেসবুক লাইভে নিজের এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান মেখলা। তাঁর অভিযোগের তির ছিল, দাঁতন থানার একাংশ কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। মেখলার ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়। এরপর জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার নির্দেশে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্ত শেষ হয়েছে। সেই তদন্ত রিপোর্ট জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে জমা পড়েছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নিতে চলেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।’’
ফেসবুক লাইভে মেখলা জানিয়েছিলেন, দর্শকাসনে অনেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। একাংশ দর্শক তাঁর কাছে গিয়ে নাচার আবদারও করে। শিল্পীর অভিযোগ ছিল, কিছু কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর প্রতি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও ভিডিও খতিয়ে দেখা হয়েছে।
রিপোর্টে শিল্পীর অভিযোগেই কি মান্যতা দেওয়া হয়েছে? কিছু কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার কি ‘অভব্যতা’ করেছিলেন? জেলা পুলিশের এক কর্তার জবাব, ‘‘ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হলে সব বুঝতে পারবেন।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, দোষ প্রমাণিত হলে এ ক্ষেত্রে কাউকে রেয়াত করা হবে না।
বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়েছে পুলিশের অন্দরেও। কেউ কি ‘কোপে’ পড়বেন? পড়লে কে কে, শুরু হয়েছে জল্পনা। জেলা পুলিশের অন্য এক কর্তায় কথায়, ‘‘এই তদন্ত একেবারে অভ্যন্তরীণ। এখনই কিছু বলছি না। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। শীঘ্রই সব জানতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy