বছর খানেকের ছেলের গলায় রাম দা ঠেকিয়ে মাকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সরব হলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার গাইঘাটার চাঁদপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রূপা। বাগদার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাতে পারে, তাদের পিছনে কোনও শক্তির মদত অবশ্যই রয়েছে।’’
মঙ্গলবার রাতে বাগদার হরিহরপুরের ওই ঘটনায় অভিযুক্তেরা এখনও অধরা। এ দিকে নির্যাতিতা মহিলার দাবি, ‘মিটমাট’ করে নিতে চেয়ে তাঁর পরিবারের উপরে চাপ সৃষ্টি করছে মূল অভিযুক্ত রমজান মণ্ডলের আত্মীয়েরা। তদন্ত এখন এগোচ্ছে কোন পথে?
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত রমজান মণ্ডল এবং রসি মণ্ডল বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা আমাদের প্রাথমিক কাজ। সেই চেষ্টা চলছে।’’ উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে মহিলার ছেলের গলায় রাম দা ঠেকানোর প্রমাণ মেলেনি। যদিও মহিলার মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই ঘটনার তদন্ত এগোচ্ছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ১৯ জুন বনগাঁ আদালতে গোপন জবানবন্দি দেবেন বছর তেইশের ওই মহিলা। ইতিমধ্যে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। বাড়িতে পুলিশ প্রহরা বসেছে।
মহিলার দাবি, মঙ্গলবার রাতেই তাঁরা বাগদা থানায় গিয়েছিলেন। তখন অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে বুধবার সকালে ফের থানায় যান তিনি। অভিযোগও দায়ের করেন দু’জনের নামে।
বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে দাঁড়িয়ে ওই মহিলা বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে রমজানের এক আত্মীয় আমার আত্মীয়কে ফোন করে বলেছে, যত টাকা প্রয়োজন দেওয়া হবে। বিষয়টি আমরা যেন মিটমাট করে নিই।’’ যদিও মহিলার বক্তব্য, ‘‘ওরা আমার উপরে যা অত্যাচার করেছে, তাতে ওদের কোনও ক্ষমা নেই। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।’’ মহিলার স্বামী স্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এমন ঘটনার কড়া শাস্তি চাই আমরা।’’
মহিলার পরিবারের দাবি, ঘটনার সাক্ষী ছিলেন গ্রামের কয়েক জন। কিন্তু তাঁরা অভিযুক্তদের ভয়ে এখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই দুই যুবক এলাকায় নানা অসামাজিক কাজে জড়িত। পাচারের কাজও চালায়। এলাকায় তাদের দাপট যথেষ্টই।
অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ মহিলার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে রমজান ও রসি ওই মহিলার বাড়িতে চড়াও হয়। বছর খানেকের ছেলের গলায় রাম দা ধরে রসি। রমজান তাঁকে ঘরের বাইরে টেনে এনে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। স্বামী আসার আগেই পালায় তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy