ছবি: সংগৃহীত।
যাঁকে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড়, সেই প্রাক্তন বিদেশ সচিব সলমন হায়দার শনিবার জানালেন, এই সম্মান গ্রহণ করতে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। রাজ্যপাল তাঁর সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি তিনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কবি শঙ্খ ঘোষ এবং প্রাক্তন বিদেশ সচিব সলমন হায়দারকে সাম্মানিক ডিলিট এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজ্ঞানী সিএনআর রাওকে সাম্মানিক ডিএসসি ডিগ্রি দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য শুক্রবার কোর্ট বৈঠকে পেশ হয়। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর, সলমন হায়দারের জীবনীপঞ্জি দেখে রাজ্যপাল জানতে চান, আরবি জানা কোনও যোগ্যতা কি না। এ-ও বোঝান, সলমন হায়দার সম্পর্কে যা তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা সাম্মানিক ডিলিট পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। সঙ্গে সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘ইনি কে?’’ কোর্টের বাকি সদস্যেরা ওই চার জনের নামে সম্মতি জানানোয় রাজ্যপালের আপত্তি খারিজ হয়ে যায়।
সলমন হায়দারের সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে তিনি অবহিত। তবে প্রাক্তন বিদেশ সচিবের কথায়, ‘‘এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। মন্তব্য করা প্রয়োজনীয় নয়। যথাযথও নয়।’’ প্রথা মতো ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে। সেখানেই এই চার জনকে সম্মানিত করা হবে।
কোর্টের সভায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল না বলে শিক্ষক সংগঠন আবুটার পক্ষ থেকে এ দিন মন্তব্য করা হয়েছে। আবুটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের পক্ষে গৌতম মাইতি এ দিন বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যে ভাবে তাঁর রাজনৈতিক অভিমত প্রকাশ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহার করলেন, তাতে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy