Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

দেবযানীর ল্যাপটপ-ডায়েরি সিটের হাতে, বলল সিবিআই

সিবিআই অফিসারেরা সারদার অন্যতম ডিরেক্টর, অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

শুভাশিস ঘটক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০৩:৫৯
Share: Save:

কয়েক বছর ধরে রাজ্য পুলিশের তরফে বারবার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় যে-সব নথিপত্র পুলিশের ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্ত দলের কাছে ছিল, তার সবই তারা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে।

সেই দাবি যাচাই করতে সিবিআই অফিসারেরা আবার সারদার অন্যতম ডিরেক্টর, অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন। গত মঙ্গল ও বুধবার দমদম জেলে তাঁকে প্রায় আট ঘণ্টা জেরা করার পরে সিবিআইয়ের দাবি, দেবযানীর ল্যাপটপ এবং বেশ কয়েকটি ডায়েরি এখনও সিটের কাছেই আছে। সেগুলো হাতে পায়নি সিবিআই।

ওই তদন্ত সংস্থা সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক থেকে সারদার টাকা লেনদেনের দায়িত্বে ছিলেন দেবযানী। সিবিআইয়ের সামনে দেবযানী দাবি করেছেন, ২০১৩ সালে ৯ এপ্রিল সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে কলকাতা ছাড়ার সময় সুদীপ্তের নির্দেশেই তিনি ল্যাপটপ এবং বেশ কয়েকটি ডায়েরি সঙ্গে নিয়েছিলেন। সিবিআইয়ের অভিযোগ, কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে সুদীপ্ত ও দেবযানীকে গ্রেফতার করে আনার সময়েই সেই ল্যাপটপ ও ডায়েরিগুলি বাজেয়াপ্ত করেন সিট। এ বারের জেরার মুখে ফের সে-কথা বলেছেন দেবযানী। সারদার বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনের হিসেব ওই ল্যাপটপেই ছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি। সিটের যে-সব সদস্যের কাছে ওই ল্যাপটপ ও ডায়েরি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে, সকলেই বলেছেন, তাঁরা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। এই তালিকায় সিটের শীর্ষ কর্তা রাজীব কুমারও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে রাজীবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। মোবাইলে পাঠানো বার্তারও জবাব দেননি।

সিবিআইয়ের দাবি, সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে যে-সব প্রভাবশালী ব্যক্তি যাতায়াত করতেন, তাঁদের ছবি ধরা ছিল সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। সিটের তদন্তকারীরা সেই ফুটেজ হস্তগত করলেও তা সিবিআই-কে দেওয়া হয়নি বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। সিবিআইয়ের আরও দাবি, সিট মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে সারদা গার্ডেনে তল্লাশি চালিয়ে এমন কিছু গুরত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল, যা তাদের হাতে পৌঁছয়নি। এই তালিকায় দেবযানীর দু’টি মোবাইলও ছিল।

এই বিষয়ে প্রকৃত তথ্য উদ্ধারের জন্য কয়েক দিনের মধ্যে জেলে গিয়ে সুদীপ্তকেও আবার জেরা করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের এক কর্তা জানান, পাঁচ বছর আগে দেবযানীর লিপিবদ্ধ করা বয়ান যাচাই করা হয়েছে। এ বার সুদীপ্তের পালা। সিটের তরফে কী ভাবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল, দেবযানী ও সুদীপ্তের বয়ানে সেটা আরও স্পষ্ট হবে। অভিযোগ, রাজীব কুমার-সহ সিটের তদন্তকারী অফিসারেরা দেবযানীর সেই ল্যাপটপ, ডায়েরি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও নথির বিষয়ে কোনও হদিস দেননি।

সিবিআই জানিয়েছে, দেবযানী ও সুদীপ্তের বর্তমান বয়ানের ভিত্তিতে সিটের কর্তা ও তদন্তকারী অফিসারদের আবার ডাকা হবে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE