হাওড়া সিজেএম কোর্টে কুণাল। শনিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র পর এ বার তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ।
কৈলাস সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন, সারদা-কাণ্ডের তদন্তে নেমে আইপিএস অফিসার এবং অধুনা কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার ওই কেলেঙ্কারির বহু নথি নষ্ট করেছেন। যার জেরে কৈলাসের বিরুদ্ধে শুক্রবার মানহানির মামলা করেছেন রাজীব। তার পরেও শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুললেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড সাংসদ কুণাল। কৈলাসের বিরুদ্ধে রাজীবের করা মানহানির মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে কুণাল অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে, বিজেপি নেতৃত্বও এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজীব কৈলাসের বিরুদ্ধে মামলা করলেও তাঁরা চিন্তিত নন।
হাওড়ার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে কুণাল অভিযোগ করেন, ‘‘রাজীব কুমারের নেতৃত্বাধীন ‘সিট’ সারদা মামলায় একপেশে, বিকৃত তদন্ত করেছে। তারা দোষীদের আড়াল করেছে। বহু তথ্যপ্রমাণ তদন্তের কাজে ব্যবহার করেনি।’’ কুণালের কথায়, ‘‘রাজীব কুমার পরিকল্পিত ভাবে, সজ্ঞানে সঠিক অভিমুখে তদন্ত করেননি। তিনি দক্ষ অফিসার। কিন্তু সেই দক্ষতা তিনি ক্ষমতাসীনদের অনুকূলে ব্যবহার করেন।’’
আরও পড়ুন: কোর্টে না গিয়ে অফিসে আসুন: পার্থ
তা হলে এই অভিযোগ তোলার জন্য রাজীব কি এ বার কুণালের বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে এ দিন দুপুরে রাজীবকে মোবাইলে বার বার ফোন করা হয়। পাঠানো হয় এসএমএস-ও। কিন্তু রাত পর্যন্ত তিনি উত্তর দেননি।
সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার আগে রাজ্য সরকার গঠিত সিট বা স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম তার তদন্ত করছিল। সিট-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন বিধাননগরের তদানীন্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব। সেই সময়ে ২০১৩-র ২৩ নভেম্বর কুণালকে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে কুণাল জামিনে মুক্ত। এ দিন শুনানিতে কুণাল নিজেই সওয়াল করেন। আদালতে ছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনও। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ এপ্রিল।
অন্য দিকে, রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সরকার এ দিন বলেন, ‘‘সিবিআই তাঁকে ডাকতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই হয়তো রাজীব কুমার কৈলাসজির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে ওই মামলায় কৈলাসজির কিছু যায় আসে না।’’ রাজ্য বিজেপি-র সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানান, সারদা-কাণ্ডের তদন্তে সিট-এর সদস্যদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা এ কে সিংহের কাছে আর্জি জানাবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy