—প্রতীকী ছবি।
দোলের দিন উঠোন জুড়ে অস্ত্র হাতে তাণ্ডব চালিয়েছিল তারা। তার পরে রং মাখানোর নামে বাড়ির এক তরুণীর সম্ভ্রমহানিও করে তারা। ভাগ্নির সঙ্গে ওই অসভ্যতার প্রতিবাদে দুষ্কৃতীদের উপরে সে দিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মামা, কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল অসীম দাম। অসীমবাবুকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। লাঠির বাড়ি, ধারাল অস্ত্রের কোপে জখম অসীমবাবুকে ফেলে পালিয়ে যায়। তিন হাসপাতাল ঘুরে তিন দিন পরে মৃত্যু হয় তাঁর।
২০১২-র ৮ মার্চ বিমানবন্দর থানার বিশরপাড়ার ওই ঘটনা নাড়িয়ে দেয় রাজ্যকে। বুধবার সেই মামলায় অভিযুক্ত সাত জনকে দোষী সাব্যস্ত করলেন ব্যারাকপুর আদালতের বিচারক তাপসকুমার মিত্র। দোষীরা হল অভিজিৎ ঘোষ, বিশ্বজিৎ ঘোষ, পঙ্কা দত্ত, দেবু মুখোপাধ্যায়, বাটু মজুমদার, কুন্তল চক্রবর্তী এবং তপন চন্দ্র। আজ, বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা। মামলার অন্যতম অভিযুক্ত জবর ঘোষের আজও পলাতক। অসীমবাবুর ভাগ্নি বলেন, ‘‘ওদের ফাঁসি চাই।’’ আইনজীবীরা জানান, খুন, শ্লীলতাহানি, অস্ত্র আইন-সহ কয়েকটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ওই সাত জন। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি বা যাবজ্জীবন হতে পারে।
মামলার সরকারি আইনজীবী অসীমকুমার দত্ত জানান, দোলের দিনে অসীমবাবুদের বাড়িতে নাম-সংকীর্তন চলছিল। রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল অভিজিৎরা। মত্ত অবস্থায় তারা অসীমবাবুদের বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের রং মাখাতে শুরু করে। প্রতিবাদ করলে মহিলাদের উপর চ়ড়াও হয়। তাদের মারে জখম হন ১৮ জন মহিলা। বাধা দিতে গিয়ে মার খান অসীমবাবু-সহ আরও কয়েক জন।
অসীমবাবুর ভাগ্নি জানান, আধঘণ্টা পরে আরও লোক জুটিয়ে আসে অভিজিতের দল। তাদের হাতে ছিল লাঠি, হকি স্টিক, ধারাল অস্ত্র। রং মাখানোর নামে তাঁর সম্ভ্রমহানি করে তারা। প্রতিবাদ জানানোয় অসীমবাবু, তাঁর ভাই শেখর দাম-সহ কয়েক জন মার খান। অসীমবাবুকে বাইরে নিয়ে গিয়ে হকি স্টিক দিয়ে মাথায় মারে দুষ্কৃতীরা। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে দুষ্কৃতীরা পালায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, হাসপাতালেও অভিজিতেরা চড়াও হয়। অসীমবাবুর চিকিৎসা না-করার জন্য চিকিৎসকদের রীতিমতো হুমকি দেয় তারা। ১১ মার্চ একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় অসীমবাবুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy