প্রতীকী ছবি।
গত কয়েক দিন ধরেই সিকিমে আবহাওয়া খারাপ ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে জুলুক থেকে রংলি যাচ্ছিল বাঙালি পর্যটক বোঝাই একটি গাড়ি। সিকিম পুলিশ সূত্রের খবর, রাস্তায় হঠাৎই ধস নামে। পাহাড় থেকে গড়িয়ে আসা পাথরের ধাক্কায় গাড়িটি ছিটকে পড়ে খাদে। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বারাসত কালিকাপুরের বাসিন্দা ঝর্ণা সাহা (৪৮), মুরারিপুকুরের বাসিন্দা রিশমিয়া ঘোষ (১৩) এবং গাড়ির চালক তুলারাম ছেত্রীর (২৯)। জখম হয়েছেন আরও ন’জন। তাঁরা রংপো হাসপাতালে ভর্তি।
বারাসতে সাহা পরিবার সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ কয়েক জন আত্মীয়ের সঙ্গে সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন ঝর্ণা, তাঁর ছেলে রাজা সাহা এবং রাজার দোকানের কর্মচারী বারাসতের রামকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা সুব্রত দাস। মানিকতলার মুরারিপুকুরের রিশমিয়া ঘোষ সম্পর্কে রাজার তুতো বোন। সে ও তার বাবা-মা ওই দলের সঙ্গেই সিকিম গিয়েছিল। সিকিম পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশ জন পর্যটকের ওই দলটি এ দিন জুলুক থেকে রংলি যাচ্ছিল। পূর্ব সিকিমের কোয়ে খোলা এলাকা পার হওয়ার সময় হুড়মুড় করে মাটি, পাথর ধসে পড়ে গাড়ির উপরে। পাথরের ধাক্কায় গাড়ি ছিটকে নীচে পড়ে যায়। স্থানীয়রা এসে জখমদের উদ্ধার করেন।
পূর্ব সিকিমের এসপি হরিপ্রসাদ ছেত্রী বলেন, ‘‘পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল রাস্তা খোলার চেষ্টা করছে। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’’ সেই রংপো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিন জনেরই হাতে, পায়ে এবং মাথায় চোট রয়েছে। কয়েক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ মারফত দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বারাসতে শোকের ছায়া নেমে আসে। বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় ফোনে রাজার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি জানান, এই পরিবারগুলি এক সঙ্গেই বেড়াতে যেত। শোকের ছায়া নেমে এসেছে মানিকতলায় মুরারিপুকুরে রিশমিয়াদের পাড়াতেও। এইটুকু মিষ্টি মেয়েটা আর নেই, ভাবতেও পারছেন না পড়শিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy