Advertisement
০২ মে ২০২৪
Jhargram

বোর্ড গঠন নিয়ে রণক্ষেত্র ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল, রাতভর চলল তৃণমূল-বিজেপির তিরযুদ্ধ

পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করেকার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লক। গোটা ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তৃণমূল কৃংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। রাতভর চলে তিরের লড়াই। সব মিলিয়ে দু’পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অধিকাংশই তিরবিদ্ধ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার জামবনিতে বোর্ড গঠন নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষের মাঝে আহত হন পুলিশকর্মী বাণেশ্বর প্রামাণিক।— নিজস্ব চিত্র।

বৃহস্পতিবার জামবনিতে বোর্ড গঠন নিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষের মাঝে আহত হন পুলিশকর্মী বাণেশ্বর প্রামাণিক।— নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:১৮
Share: Save:

পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করেকার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লক। গোটা ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তৃণমূল কৃংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। রাতভর চলে তিরের লড়াই। সব মিলিয়ে দু’পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অধিকাংশই তিরবিদ্ধ হয়েছেন।

গত কাল সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের দিন ছিল। নির্বাচনে সমিতির মোট ২১টি আসনের মধ্যে ১১টি পেয়েছে বিজেপি। বাকি ১০টি তৃণমূলের।

সেই ফলাফলের ভিত্তিতেই গত কালপঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন বিজেপির ভূপেন কানুনগো এবং সহ সভাপতি নির্বাচিত হন বিজেপি সদস্য দরবারি কিস্কু।

(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনার সূত্রপাত বোর্ড গঠনের ঠিক পরপরই। ব্লক অফিসের সামনেই বচসায় জড়ায় দু’দলের কর্মী সমর্থকরা। সেই বচসা কিছুক্ষণের মধ্যে সংঘর্ষের চেহারা নেয়। সাঁকরাইলের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্রের অভিযোগ,“বোর্ড গঠন হওয়ার পরই বিজেপির লোকজন তাণ্ডব শুরু করে দেয়। রগড়া গ্রামে আমাদের সমর্থকরা বাড়ি ফিরছিল। তখন তাঁদের উপর লাঠি বোমা নিয়ে হামলা চালানো হয়। তারপরই রাতে পাশের নেকড়াশোল গ্রাম ঘিরে হামলা চালায় বিজেপির লোকজন।” তৃণমূলের অভিযোগ রাতভর বিজেপি ওই দুই গ্রামে হামলা চালায় এবং তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে তির ছোড়ে।

আক্রান্ত আর একজন। নিজস্ব চিত্র।

ভোরবেলা সেই সংঘর্ষ ফের শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, শুক্রবার ভোরবেলা বইচা গ্রামে হামলা চালায় বিজেপি। সেখানে ১১ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই তিরবিদ্ধ হয়েছেন। সোমনাথ বলেন,“আমাদের এক কর্মী হেমন্ত দলুইয়ের একাধিক তির লেগেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থা। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” ওই তৃণমূল নেতার অভিযোগ, রাতে অনেক জায়গায় বিজেপি সমর্থকদের তাণ্ডবের সামনে পুলিশও ঢুকতে পারেনি। তিনি বলেন,“ওরা পুলিশকে লক্ষ্য করেও তির ছুড়ছিল।”

আরও পড়ুন: পাঁচ বছরে ঢেলেছেন ১৮৫ কোটি! তবু কেশপুর-গড়বেতার ছায়া মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে

আরও পড়ুন: হাতে স্টিয়ারিং, চোখ মোবাইলের ডান্স আইটেমে, এ ভাবেই বাস চালিয়ে গেলেন ড্রাইভার!

তৃণমূলের এই অভিযোগ আদৌ মানতে চাননি বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুকমল শতপথী। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা পরিকল্পনা করে আমাদের উপর হামলা চালায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে রগড়া গ্রামে আমরা একতরফা মার খেয়েছি। অন্য জায়গায় আবার হামলা চালালে প্রতিরোধ করা হয়েছে।” তাঁর দাবি বিজেপিরও চারজন গুরুতর আহত। দু’জন তিরবিদ্ধ হয়ে মেদিনীপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে গোটা ঘটনায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেফতারহয়নি। এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী পিকেট করেছে, টহল দিচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Political Clash Crime Jhargram TMC BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE