Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাংলায় ভাঙন কেন, খোঁজ নিলেন রাহুল

দলের স্বার্থ রক্ষা করে তবেই লোকসভা ভোটে জোটের পথে এগোনো হবে বলে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৮ ০৪:১০
Share: Save:

দফায় দফায় দলত্যাগ চলছে বাংলার কংগ্রেসে। তৃণমূলের ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে শনিবারও হাজির হয়েছেন দলের চার বিধায়ক। বাংলায় দলের এমন ভাঙনে উদ্বিগ্ন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের স্বার্থ রক্ষা করে তবেই লোকসভা ভোটে জোটের পথে এগোনো হবে বলে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে রবিবার সনিয়া ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে কথা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের। গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, অশোক গহলৌত, সিদ্দারামাইয়ার মতো নেতারাও সেখানে ছিলেন। দলীয় সূত্রের খবর, রাহুল জানতে চান, বাংলায় কী ঘটছে? মান্নান জানান, দল ভাঙানো অব্যাহত। কংগ্রেসের মতো দলকে তৃণমূল ভাঙিয়ে নেওয়ায় বিরোধী পরিসরে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বিজেপি। বিধায়কেরা কেন দল ছাড়ছেন, তা-ও জানতে চান কংগ্রেস সভাপতি। বিরোধী দলনেতা বলেছেন, শনিবার যাঁরা দলত্যাগ করেছেন, তাঁদের মধ্যে আখরুজ্জামানকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যথেষ্ট গুরুত্ব দিতেন। প্রবীণ সমর মুখোপাধ্যায় ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অনুগামী। এঁরা কংগ্রেসে আস্থা না রাখতে পারলে কী করা যাবে? দরকারে তিনি নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে পদ ছেড়ে দিতে পারেন বলেও জানান বিরোধী দলনেতা।

বাংলার ঘটনা শুনে সিদ্দারামাইয়ার মতো নেতা বলেন, এর পরে আর কী ভাবে কংগ্রেস তৃণমূলের হাত ধরার কথা ভাববে? পরে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে অবশ্য রাহুল জানিয়ে দেন, দলের স্বার্থরক্ষা করেই যেখানে যা জোট করার, করা হবে। তার জন্যে ছোট একটি কমিটিও করা হবে। ওয়ার্কিং কমিটিতে মহারাষ্ট্রের অশোক চহ্বাণ বলেন, তাঁর রাজ্যে বিজেপি দল ভাঙাচ্ছে। অধীরবাবু-সহ কয়েকটি রাজ্যের দলীয় সভাপতির বলার সুযোগ অবশ্য সেখানে আসেনি। পরে অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেসের ঘাতক হয়ে উঠেছেন। কংগ্রেস যাতে দর কষাকষির জায়গায় না থাকেন, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। রাহুলও এটা জানেন।’’

বাংলা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে এআইসিসি-র মুখপাত্র রণজিৎ সিংহ সুরজেওয়ালা এ দিন বলেন, ‘‘মমতা হোন বা বাম, বা অন্য কোনও দল— জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সভাপতির উপরেই দিয়েছে ওয়ার্কি কমিটি। বাংলার ক্ষেত্রে রাহুলজি নিজে কথা বলতে পারেন বা কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন।’’ তবে তাঁরও বক্তব্য, দেওয়া-নেওয়ার ভিত্তিতেই জোট হয়। ‘অনড়’ থেকে নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE