স্বাগত: বরিশালে পশ্চিমবঙ্গের স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্থানীয়রা।— নিজস্ব চিত্র।
ঢাকা থেকে বরিশাল কম দূর নয়। কিন্তু ঢাকায় এসে জন্মভিটের খোঁজে সেই বরিশালে হাজির হলেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর বুকে একটি জাহাজের ডেকে স্ত্রী নন্দিতাকে পাশে নিয়ে বিমানবাবু বলছিলেন, ‘‘বাংলাদেশে আসার সুযোগ পেয়েই বরিশালে ছুটে এসেছি। ৬৭ বছর আগে ছেড়ে যাওয়া জন্মভিটে খুঁজে বার করব।’’
স্বাধীনতার পরে সেই টালমাটাল সময়ে পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে বিমানবাবুর পরিবার যখন ভারতে পা বাড়ান, তখন তিনি নেহাতই শিশু। শুধু মনে আছে, ঐতিহ্যশালী ব্রজমোহন কলেজের পাশেই তাঁদের বাড়ি। শুক্রবার সেই কলেজের শহিদ মিনার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে কিন্তু ঠিকঠাক ঠাওর করতে পারেননি বর্ষীয়ান বিমানবাবু। বদলে গিয়েছে সব! গেটের উল্টো দিকের ওই বাড়িটাই কি? ঢোকা হল সেই বাড়িতে। কিন্তু স্মৃতির সঙ্গে মেলেনি সে বাড়ির অন্দরমহল। হয়তো এটাই, হয়তো নয়।
তবে একটি মেডিক্যাল সেন্টারে এসে উৎফুল্ল বর্ষীয়ান রাজনীতিক। মায়ের কাছে শুনেছিলেন, ডগলাস বোর্ডিং নার্সিংহোমে তাঁর জন্ম। জীবনানন্দ দাশ সড়কে সেই ছোট্ট বেসরকারি হাসপাতালটির নাম এখন ‘সেন্ট অ্যানস মেডিক্যাল সেন্টার’। জন্মতারিখ জানাতে খুঁজে পাওয়া গেল বিমানবাবুর জন্মপঞ্জি। ছবি নেওয়া হল তাঁর। বরিশাল আদালতেও গেলেন পেশায় আইনজীবী বিমানবাবু। সেখানে প্র্যাকটিস করতেন তাঁর বাবা-কাকা। বরিশাল বলতে বিমানবাবুর স্মৃতিতে ভাসে মুকুন্দ দাসের কালীমন্দির। আগৈলঝরার মনসা মন্দির, গৌরনদীর মাহিলারা মঠ। সস্ত্রীক ঘুরে দেখলেন সে সব মঠ-মন্দির।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সম্মলনে ঢাকায় এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের স্পিকার। বললেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে ভারতের ভূমিকা, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর অবদান সকলেই জানেন। দু’দেশের মানুষের সুসম্পর্ক রয়েছে, থাকবেও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও চান— বাংলাদেশের মানুষ সুখে থাক, শান্তিতে থাক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy