শেষ দিনে বিপত্তি সাগরমেলায়। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হুড়োহুড়ি করে ভেসেলের লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে পিষ্ট হয়ে মারা গেলেন তিন জন মহিলা। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও দুই মহিলা। তাঁদের সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে মৃত ও আহতদের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানাতে পারেনি প্রশাসন।
ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারপিছু দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
মকর সংক্রান্তির স্নান সেরে এ দিন সাগরদ্বীপ থেকে মূল ভূখণ্ডে ফেরার জন্য কচুবেড়িয়া ৪ ও ৫ নম্বর অস্থায়ী জেটিতে হাজির হয়েছিলেন বহু মানুষ। মুড়িগঙ্গা নদীতে ভাটার সময় চলে না ভেসেল। কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর রাত ৮টার সময়ে জোয়ার এলে চালু হওয়ার কথা ভেসেলের। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, ভেসেল এলে তাতে ওঠার জন্য আগে দাঁড়ানো নিয়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই পাঁচ মহিলা। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে তিন জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনাটি ছাড়াও শনিবার রাতে পথ দুর্ঘটনায় আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁরও পরিচয় জানা যায়নি। রবিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বিহারের বাসিন্দা মীরা দেবী (৫১) ও কালু (৫৫) নামের এক প্রৌ়ঢ়। জেলাশাসক পিবি সালিম বলেন, ‘‘গতকাল রাত থেকে মোট ৬ জন মারা গিয়েছেন।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের ভিড় জমে যায় সাগরের কচুবেড়িয়ায়। জেটিতে তীর্থযাত্রীদের অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়েই হ্যাম রেডিও এবং অন্য একটি স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার কর্মীরা মোট ৫ জনকে কচুবেড়িয়ার অস্থায়ী হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে যাওয়ার পর সেখানে মারা যান তিন জন। দু’জনকে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ‘‘মৃত তিনজনই ভিনরাজ্য থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় এসেছিলেন বলে মনে হচ্ছে।’’ এ দিকে ব্যারিকেড ভেঙে পড়ে পদপিষ্ট হয়ে যাওয়ার গুজবে মেলা থেকে ফেরত এসেও রাতেই ফের কচুবেড়িয়ায় যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy