—ফাইল চিত্র।
পলাতক গোর্খা নেতা বিমল গুরুং নেপালে লুকিয়ে রয়েছেন বলে হাইকোর্টে দাবি করল রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার বিমল গুরুংয়ের আগাম জামিনের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওই দাবি করেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত। সেই দাবির সমর্থনে কী তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, রাজ্যকে তা হলফনামার মাধ্যমে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে এ দিন বিমলকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তিনি কোথায় থাকছেন, তা আদালতে হলফনামা দিয়ে জানান।
২০১৭ সালের জুন মাসে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন বিমল গুরুং। সেই সময়ে টানা ১০৫ দিন বন্ধ ছিল পাহাড়ে। সেই সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েক জনের মৃত্যু হয় বলেও অভিযোগ। সেই সময়ে বিমল গুরুং, রোশন গিরি এবং গুরুংপন্থী বেশ কয়েক জন ছোটবড় নেতার বিরুদ্ধে খুন, অগ্নিসংযোগ-সহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। তার জেরে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন বিমলরা। এই মামলার শুনানি এতদিন ধরে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে হয়েছে। এ বারে তা আবেদনের ভিত্তিতে এসেছে কলকাতাতেই। এ দিন হাইকোর্টে সেই মামলারই শুনানি ছিল।
এ দিন সেই শুনানিতেই এজি দাবি করেন, বিমল নেপালে লুকিয়ে আছেন। তিনি আদালতে জানান, গুগল ম্যাপের সাহায্যে বিমলের গতিবিধি জেনেছেন তদন্তকারীরা। এজি আরও জানান, বিমলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় এক সাক্ষী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েও জানিয়েছেন বিমলের নেপালে থাকার কথা।
বিমলের আইনজীবী ইয়েডেজার্ড জাহাঙ্গির দস্তুর পাল্টা দাবি করেন, তাঁর মক্কেল এ রাজ্যে থাকা নিরাপদ মনে করছেন না। কিন্তু তিনি দেশের বাইরে থাকছেন না।
তা ছাড়া নেপালে যেতে হলে এ দেশের কোনও নাগরিককে ভিসা নিতে হয় না। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি রয়েছে। বিমল সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে গিয়েছেন। তাই তিনি পলাতক এমন বলা যায় না।
দু’পক্ষের সওয়াল শুনে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শীতের ছুটি শেষ হওয়ার পরে হাইকোর্ট খুললে, তার এক সপ্তাহ পরে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy