পাহাড় সমস্যা মেটাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক এবং তাতে বিমল গুরুঙ্গের উপস্থিতি চাইলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। রবিবার শিলিগুড়ির বাঘা যতীন পার্কে দলের দার্জিলিং জেলা সম্মেলনে যোগ দিতে এসে এ কথা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘পাহাড়ে ত্রিপাক্ষিক ডেকে আপনারা সই করে জিটিএ ঠিক করেছিলেন। এখন গোলমাল হচ্ছে। ত্রিপাক্ষিক ডাকছেন না কেন? জিটিএ-তে বলা ছিল যদি কাজ করতে গিয়ে কোনও সমস্যা হয় তা হলে তিন পক্ষকে বসতে হবে। এখন যখন গোলমাল হচ্ছে, তিন পক্ষকে ডাকছেন না কেন?’’
পাহাড়ে জিটিএ-র নতুন কেয়ারটেয়ার বোর্ড হয়েছে। ত্রিপাক্ষিক হলে কী বিমল গুরুঙ্গ বাদ দিয়েই? সূর্যকান্তবাবু বলেন, ‘‘কোনও ব্যক্তি বিশেষ নিয়ে বলছি না। কিন্তু বিমল গুরুঙ্গকে বাদ দিয়েই বা হবে কেন?’’ মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, সবাই মজা দেখছে। দার্জিলিঙের সাংসদ কোথায়? কেন্দ্রের কী দায়িত্ব নেই সে সব নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব অবশ্য এ সব নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘সূর্যকান্তবাবুর কথার কোনও গুরুত্ব দিতে চাই না। এ নিয়ে কিছু বলতেও চাইছি না।’’ সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, জিটিএ করার পরও খোঁচানো হচ্ছে। সেটা তাঁরা ক্ষমতায় থাকার সময় কখনও করেননি। বরং তারা রাজ্যের মধ্যে থেকে পাহাড়কে সর্বোচ্চ স্বায়ত্ত শাসন দিতে চেয়েছেন। নেপালি ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি চেয়েছেন। আর এখন গোলমাল পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে।
এ দিন সভায় উপস্থিত সিটুর রাজ্য সম্পাদক শ্যামল চক্রবর্তী জানান, পাহাড়ে নানা জাতি উপজাতির মানুষ রয়েছে। বারবার সেখানে আগুন জ্বালানোর জন্য পর্যটন বিপর্যস্ত। ব্যবসায়ী শ্রমিকেরা ভুগছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy