বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর জন্যই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) এবং বামেদের আসন সমঝোতা ভেস্তে গিয়েছে, আইএসএফ-এর শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ভাঙড় ২ ব্লকে গিয়ে মঙ্গলবার এমনই মন্তব্যের সামনে পড়লেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। সৃজন যদিও হাসিমুখেই বিষয়টি সামাল দেন।
যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী এ দিন শানপুকুর, ভোগালি ১-এর বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচার করেছেন। চণ্ডীহাট গ্রামে প্রচার চলাকালীন আসন সমঝোতা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন সৃজন। এক প্রবীণ নাগরিক বলেন, “বিমানবাবু তা হলে টাকা খেয়ে জোটটা ভেস্তে দিলেন!” প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে গেলেও, পর ক্ষণে সৃজন হেসে বলেন, “জোটটা হলে ভালই হত। কিন্তু সবটা তো একা বিমানবাবুর উপরে নির্ভর করে না।” তবে এই পরিস্থিতিতেও আইএসএফ সমর্থকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন সৃজন। এর আগেও সৃজনকে একই ধরনের আশ্বাস দিতে দেখা গিয়েছে। যদিও, সমঝোতা ভেস্তে যাওয়ার দায় এ দিনও আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী সিপিএমের ঘাড়েই চাপিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা প্রথম থেকেই জোটের পক্ষে সওয়াল করে এসেছি। কিন্তু সৃজনবাবুরাই জোট করেননি। হলে ভাল হত। যাদবপুরে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ আমরাই।”
নওসাদের দলীয় কার্যালয় রয়েছে মাঝেরহাট গ্রামে। সেখানেও সৃজন ‘অস্বস্তিকর’ মন্তব্যের সম্মুখীন হন। এক জন সৃজনকে দেখে বলে ওঠেন, “যতই প্রচার করুন, ভোট আমরা ভাইজানকে দেব।” সৃজন বলেন, “কাকে ভোট দেবেন, সেটা আপনার বিষয়। কিন্তু আমি অনুরোধ করব ভোট দেওয়ার আগে মাথা ঠান্ডা করে এক বার ভাবুন, কাকে দেওয়া উচিত।”
তবে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সৃজনকে স্বাগত জানাতেও দেখা যায়। কাশিপুর গ্রামে মহিলাদের একাংশ সৃজনকে মালা পরিয়ে, উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানান। জামিরগাছি ব্রিজের কাছে এক দোকানদার সৃজনকে দেখে বলে ওঠেন, “এই আমাদের নেতা। কোনও জাঁকজমক নেই।” যাদবপুরেরই আইএসএফ প্রার্থী নূর আলম খানও এ দিন বেঁওতা ১, ২ অঞ্চলের নানা এলাকায় প্রচার করেছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)