Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Nandigram

নীল-সাদা শামিয়ানায় ‘বিদ্রোহী’ শুভেন্দু

নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দুর আহ্বান, ‘আমরা চলি সমুখপানে কে আমাদের বাঁধবে, রইল যারা পিছুর টানে কাঁদবে তারা কাঁদবে।’

নন্দীগ্রামে বিজয়া সম্মিলনীতে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।

নন্দীগ্রামে বিজয়া সম্মিলনীতে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০ ০৪:১৩
Share: Save:

রাজ্যের মন্ত্রী বা তৃণমূলনেতার পরিচয় আড়ালে রেখে ধারাবাহিক ভাবে বিজয়া সম্মিলনী করার সূচনাতেই ‘বিদ্রোহ’ স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার নন্দীগ্রাম ও মেদিনীপুরে দু’টি সভা করেন তিনি। নন্দীগ্রামেই তিনি ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক।

সেখানে তাঁর দাবি, ২০০৪ থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর কোনও পরিবর্তন হয়নি। আগে যেমন ছিলেন, আজও তেমন আছেন। এই সূত্রেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি প্যারাশুটে নামিনি, লিফটেও উঠিনি। সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছি।’’

শুভেন্দুর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ সংক্রান্ত প্রশ্নে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বৃহস্পতিবার কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, ‘রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাব আমি দেব, হাসেন অন্তর্যামী।’ এ দিন কারও নাম না করে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘ছোটলোকদের দিয়ে বাজে কথা বলিয়ে ভাবছে আমি উত্তর দেব। আমার লেভেলটা ওই নাকি!’’ তাচ্ছিল্যের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘‘কুকুর পায়ে কামড়ালে কুকুরকে কেউ কামড়ায় নাকি!’’

আরও পড়ুন: কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিনভর ধর্না কংগ্রেসের

আরও পড়ুন: শাহের সফরে কি চমক দল বদলের?

নন্দীগ্রামের সভার পর জেলা তৃণমূলের আক্রমণের মুখে পড়েছেন শুভেন্দুও। জেলা দলের কোঅর্ডিনেটর অখিল গিরি বলেন, ‘‘অধিকারী পরিবার তৃণমূলের জন্মলগ্নে দলে আসেনি। তাঁরা এসেছেন সাজানো বাগানে। ওঁকে সিঁড়ি ভাঙতে হয়নি। এখন সংগঠন ধ্বংস করতে চাইছেন।’’ শুভেন্দুর প্রতি আক্রমণের সুর চড়িয়ে তাঁর অভিযোগ, ‘‘২০০৪ সালের পারিবারিক সম্পত্তি আর ২০২০ সালের পারিবারিক সম্পত্তিতে আকাশ-পাতাল ফারাক। দল ওঁদের সব কিছু দিয়েছে। এখন তিনি বেইমানি করছেন।’’ এই পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহেই নিমতৌড়িতে শুভেন্দু- বিরোধী শিবির বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছে।

দুর্গা প্রতিমার ছবি এবং শুভেন্দুর ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছিল নন্দীগ্রামের মঞ্চ। পুরুলিয়ায় শুভেন্দু অনুগামীদের আসন্ন বিজয়া সম্মিলনীর আমন্ত্রণপত্র গেরুয়া রঙে ছাপানো হলেও নন্দীগ্রামের শামিয়ানা ছিল তৃণমূল তথা সরকারের রং নীল-সাদা। ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির একাধিক পদাধিকারী ও দলের নেতারা। দলীয় সূত্রে অবশ্য বলা হয়, মন্ত্রীর ডাকে নীল-সাদা শামিয়ানায় অনেকেই কর্মসূচিটি দলীয় বা সরকারি ভেবেছিলেন। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে কয়েক জন সেই কথা জানিয়েও দিয়েছেন। এ দিনের সভায় লোক জড়ো হয়েছিল বিস্তর। শুভেন্দু অবশ্য সারা ক্ষণ মাস্ক পরেছিলেন। তবে প্রশ্ন উঠেছে, করোনকালে এমন জনসমাগমের ফলে যদি প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা হলে সেই দায় কে নেবেন? তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও এখন এ ভাবে সমাবেশ করছেন না। যা হচ্ছে, তা ভার্চুয়াল। যে কোনও সচেতন নেতার এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suvendu Adhikari Nandigram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE