Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

সন্দেহের জেরে জুতোপেটা, সরগরম সর্বাঙ্গপুর

গ্রামের কোল ঘেঁষে খাল, বাঁধ দিয়ে সে খালের জল প্রতি বছরই পাট পচানোর জন্য সংরক্ষণ করেন সর্বাঙ্গপুরের গ্রামীণ মানুষ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৯ ০৩:৪৬
Share: Save:

সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চলছে, স্রেফ এই সন্দেহ থেকেই বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদের সর্বাঙ্গপুরের পঞ্চায়েত ঘেরাও করে শুধু বিক্ষোভ নয়, তৃণমূলের অঞ্চল প্রধানকে জুতো পেটাও করলেন গ্রামবাসীরা। শেষ পযর্ন্ত ওই পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক লিখিত মুচলেকা দিয়ে, টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে না বলায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিক্ষোভ তুলে নেন গ্রামবাসীরা।

গ্রামের কোল ঘেঁষে খাল, বাঁধ দিয়ে সে খালের জল প্রতি বছরই পাট পচানোর জন্য সংরক্ষণ করেন সর্বাঙ্গপুরের গ্রামীণ মানুষ। বুধবার সেই বাঁধের কাজ তদারকি করতে এসেছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, সঙ্গে সহকারী বাস্তুকার। ছবিও তোলেন তাঁরা। আর তা থেকেই গ্রামের মানুষের সন্দেহ দানা বাঁধে— এও বোধহয়

‘কাটমানি’র রকমফের! গ্রামবাসীদের দাবি, ছবি তুলে গ্রামীণ মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমকেই একশো দিনের কাজ বলে চালানোর চেষ্টা করছে পঞ্চায়েত। গ্রামের বাসিন্দা শ্যামলেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের স্বেচ্ছাশ্রমের কাজকেই প্রকল্পের কাজ বলে দেখিয়ে প্রকল্পের সাড়ে চার লক্ষ টাকা লুট করার চেষ্টা করছিল পঞ্চায়েত।’’ আর নিছক এই সন্দেহ থেকেই ছড়ায় ক্ষোভ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপপ্রধান ও নির্মাণ সহায়ককে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। গ্রামবাসীদের একাংশ ঘিরে ফেলেন সর্বাঙ্গপুর পঞ্চায়েত।

কয়েকজন গ্রামবাসী উপস্থিত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি দিবাকর মণ্ডলকে জুতো পেটা করেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসী উত্তম মণ্ডল বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের দুনীর্তির নাটের গুরু তৃণমূলের নেতা দিবাকর।’’ দিবাকর অবশ্য সে কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘আমি এ সব জানি না।’’ ওই পঞ্চায়েতের প্রধান কেকা বিশ্বাস বলেন, ‘‘কেন যে গ্রামবাসীরা অশান্ত হয়ে উঠলেন বুঝতেই পারছি না। এর পিছনে রাজনৈতিক মদত আছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Murshidabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE