সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতি কিংবা বাম প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনেরা আগেই করেছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিয়ে শিবির করতে এ বার একই পথে হাঁটছে তৃণমূলের স্কুল শিক্ষক সংগঠনও। এ বছর থেকেই জেলায়-জেলায় পরীক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হয়েছে এক দিনের কর্মশালা। যা নিয়ে শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, পড়ুয়াদের মধ্যে নিজেদের প্রভাব বা়ড়াতেই কি শিবিরের আয়োজন?
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় অবশ্য বিরোধী বা সরকারি স্কুলশিক্ষক সংগঠনের শিবির নিয়ে বলছেন, ‘‘ওরা আমাদের মতো বড় আকারে তো করতে পারবে না। সেই ক্ষমতা ওদের নেই।’’ তাঁর দাবি, আগেও তাঁরা বিচ্ছিন্ন ভাবে শিবির করেছেন। কিন্তু সংগঠিত ভাবে শিবির এই প্রথম। দিব্যেন্দুবাবুর কথায়, ‘‘জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় অনেকেই নানা ভুলচুক করে। কেউ হয়তো নিজের নামটাই লিখতে ভুলে যায়, কেউ ঠিক মতো রোল নম্বর লেখে না। এ সব বিষয়গুলি গাইড করার জন্য এই উৎসাহ দান শিবির।’’
তৃণমূল সংগঠন সূত্রের খবর, আজ, রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার আগরপা়ড়া এবং দমদমের একটি স্কুলে এমন শিবির হবে। সেখানে অবশ্য শিবিরের পিছনে মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্বপ্নপূরণ’-কে কারণ হিসেবে তুলে ধরছেন তৃণমূলের শিক্ষক নেতারা। সমিতির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি সম্রাট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চান বিশ্ব বাংলা গড়তে। তাঁর স্বপ্নকে সত্যি করতে এই প্রচেষ্টা।’’
তৃণমূলের এই শিবির নিয়ে বামেদের শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ-র সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টচার্যের মন্তব্য, ‘‘কোনও কিছুতেই আমাদের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে এসব করছে। আমরা অনেক বছর আগে থেকেই এই শিবির শুরু করেছি।’’ তাঁর মতে, ‘ছাত্র সহায়তা শিবিরে’ পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি বুঝতেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। খামতি থাকলে তা শুধরে দেওয়া হয়। সরকারি স্কুল শিক্ষক সমিতির সদস্যরা অবশ্য শিবির নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁদের কেউ কেউ দিব্যেন্দুবাবুর মন্তব্য শুনে মুচকি হেসেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy