সামিল: অস্থায়ী ধরনা মঞ্চে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র
সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনের দাবি নিয়ে এবার দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল। সোমবার জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের সামনে অস্থায়ী ধরনা মঞ্চে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এ কথা জানান। গত ৬ ডিসেম্বর থেকে ধরনা চলছে।
এ দিন পর্যটনমন্ত্রী জানান, দিল্লিতে সংসদ ভবনের সামনে ধরনা-অবস্থান হবে। জলপাইগুড়ি ছাড়াও উত্তরবঙ্গের সব জেলার প্রতিনিধিরা থাকবেন। বেঞ্চের দাবিতে পাহাড়ের আইনজীবীরাও সামিল হবেন বলে জানানো হয়েছে। দার্জিলিং থেকে আইনজীবীরা ধরনা মঞ্চে আসবেন। ধরনার শুরুর দিন থেকেই বিজেপি ছিল তৃণমূলের আক্রমণের একমাত্র লক্ষ্য। রাজ্য সরকার সব পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়ার পরে বেঞ্চ চালু হতে পদ্ধতিগত ভাবে বাকি শুধু রাষ্ট্রপতির বিজ্ঞপ্তি জারি। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছে করে সেই ফাইল আটকে রেখেছে। যে স্বাক্ষর হতে কয়েক মিনিট লাগে তার জন্য কয়েক মাস লাগিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে গৌতম বলেন, “উত্তরবঙ্গবাসীর আবেগ নিয়ে বিজেপি খেলছে। এবার আমরাও পাল্টা চাপ দেব। দিল্লিতে গিয়ে অবস্থানে বসব।” প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, উত্তরবঙ্গের সব জেলার নেতারা দিল্লিতে অবস্থানে যাবেন। সাধারণ বাসিন্দাদেরও দিল্লি যাওয়ার ডাক দেবে তৃণমূল।
উদ্বোধন পিছিয়ে গেলে বেঞ্চের পরিকাঠামোর কী দশা হবে তা নিয়ে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার এত টাকা দিয়ে যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করেছে। বেশি দিন অব্যবহৃত থাকলে সেগুলি নষ্ট হয়ে যাবে। এটা কাম্য নয়।” এ দিকে ধরনা মঞ্চ যেন কোনও সময়ে ফাঁকা না থাকে তার জন্য নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জানান, জলপাইগুড়ির সব ব্লকের নেতাদের একদিন করে ধরনা মঞ্চে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরনা চলবে। তার জেরে প্রতিদিনই জেলা নেতাদের দেখা যাচ্ছে মঞ্চে।
এ দিকে ব্লকে ব্লকে মিছিল-অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুব তৃণমূল। জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দীর্ঘ টালবাহানর পরে বেঞ্চ নিয়ে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। তা দূর করতে সভা-মিছিল করা হবে। দিল্লির কারণেই যে বেঞ্চ আঠকে রয়েছে তা বোঝানো হবে।” সোমবার দুপুর থেকেই ধরনা মঞ্চ ছিল ভিড়ে ঠাসা। লোকগানের দল ধরনা মঞ্চে অনুষ্ঠানও করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy