Advertisement
১০ মে ২০২৪

বনগাঁয় আস্থা ভোটে জয়ী তৃণমূল, বিজেপি হাইকোর্টে

বৃহস্পতিবার বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই হয় ভোটাভুটি। ২২ জনের মধ্যে তৃণমূলের ১৩ জন এবং কংগ্রেসের এক জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন।

বনগাঁ পুরসভা।—ফাইল চিত্র।

বনগাঁ পুরসভা।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২১
Share: Save:

আস্থা ভোটে এলেন না বিজেপি কাউন্সিলরেরা। গরহাজির এক মাত্র সিপিএম কাউন্সিলরও। এই অবস্থায় বনগাঁর পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটিতে মসৃণ জয় এল তৃণমূলের ঝুলিতে।

বৃহস্পতিবার বারাসতে জেলাশাসকের কার্যালয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই হয় ভোটাভুটি। ২২ জনের মধ্যে তৃণমূলের ১৩ জন এবং কংগ্রেসের এক জন কাউন্সিলর হাজির ছিলেন। বৈঠক শেষে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত ১৪ কাউন্সিলরদের সকলে।’’

দু’মাস আগে পুরসভার ১৪ জন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে। পরে ১২ জন যোগ দেন বিজেপিতে। তার মধ্যে ৫ জন অবশ্য তৃণমূলে ফিরেও এসেছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের আস্থা ভোটে জয়লাভ ছিল সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

যদিও পুরসভা নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানায় এখানেই ইতি টানা গেল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলেই রইল। নিয়ম মেনে ভোট হয়নি বলে এ দিনই ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, যাঁরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন, তাঁরাই এখন তৃণমূলে। তাই এই আস্থা ভোট বৈধ নয়। মামলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। তবে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ করেছে বিচারপতি শেখর ববি সরাফের বেঞ্চ। ফলে মামলা করতে হলে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে যেতে হবে বিজেপিকে। রেগুলার বেঞ্চে মামলার রায়ের উপরে এ দিনের বোর্ড গঠনের ফল নির্ভর করবে।

বিজেপির বিরুদ্ধেই অবশ্য আদালত অবমাননার মামলা করা উচিত বলে মনে করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রী বলেন, ‘‘মহামান্য আদালতের সময় নষ্ট করেছে, আদালতকে ভুল বুঝিয়েছে বিজেপি। আস্থা ভোটে ১৪-০ ভোটে পরাজিত হয়েছে বিরোধীরা।’’

বিজেপির কাউন্সিলরেরা ভোটাভুটিতে হাজির ছিলেন না কেন?

বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল বুঝতে পেরেছিল, আমাদের কাউন্সিলরেরা বৈঠকে উপস্থিত হলে ওদের পরাজয় নিশ্চিত। তাই বুধবার রাত থেকে আমাদের কাউন্সিলরদের ভয় দেখানো শুরু হয়। পুলিশ আমাদের কাউন্সিলরদের নিরাপত্তা দেয়নি।’’ তাঁর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল কাউন্সিলরদের নিরাপত্তা দেওয়ার।

বারাসত পুলিশ জেলার সুপার সি সুধাকর অবশ্য বলেন, ‘‘বনগাঁ থেকে বারাসত জেলাশাসকের দফতর পর্যন্ত পথে সর্বত্র পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছিল। নিরাপত্তায় কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘কাউকে কোথাও য় দেখানো হয়ে থাকলে ওঁরা তার প্রমাণ দিন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE