গীতাঞ্জলী প্রকল্পের উপভোক্তাদের ফোন নম্বর চাইল নবান্ন।
তোলাবাজির টাকা ফেরাতে মঙ্গলবারই দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘‘গরিবদের জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্প থেকে ২৫ শতাংশ কমিশন দলের লোকেরা নিচ্ছে, আমি সব খবর রাখি। যাঁরা টাকা নিয়েছেন ফেরত দিন।’
ঘটনাচক্রে, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই, বুধবার ‘গীতাঞ্জলি’ বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তাদের নাম, মোবাইল নম্বর তলব করল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরই (সিএমও) এই তথ্য তলব করেছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। নির্দেশ জেলায় পৌঁছেছে। জেলা থেকে নির্দেশ গিয়েছে প্রতি ব্লকে। ‘গীতাঞ্জলি’ প্রকল্পে উপভোক্তাদের নাম, মোবাইল নম্বরের তালিকা তৈরি শুরু করেছে ব্লকগুলো। কেশপুরের বিডিও দীপক ঘোষ মানছেন, ‘‘নির্দেশ পেয়েছি। ব্লকে তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে।’’ শালবনির বিডিও সঞ্জয় মালাকারের স্বীকারোক্তি, ‘‘নির্দেশ পেয়েছি। তালিকা জেলায় পাঠানো হচ্ছে।’’
গ্রামীণ এলাকায় গীতাঞ্জলি প্রকল্পে গরিবদের বাড়ি বানিয়ে দেয় রাজ্য। প্রকল্পে উপভোক্তা পাকা বাড়ি তৈরির জন্য কয়েক কিস্তিতে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা পান। প্রথম কিস্তি পাওয়ার পরে কাজ কতটা এগিয়েছে, তার ছবি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পৌঁছয় ব্লক অফিসে। এর পরই মেলে পরের কিস্তির টাকা।
আবাস যোজনায় মাঝেমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরি শুরু করেননি। আবার অনেকে বাড়ি কাজ শুরু না করেও পেয়েছেন পরের কিস্তির টাকা। অভিযোগ, সরকারি অর্থ নয়ছয়ে যুক্ত থাকেন শাসক দলের একাংশ নেতা-কর্মীই। কেশপুরের আমলাবনির গুণধর সাঁতের কথায়, ‘‘বাড়ি প্রকল্পের টাকা এক তৃণমূল নেতা নিয়ে নিয়েছে। এখনও বাড়িটা পুরো তৈরি করে দেয়নি।’’ তৃণমূল সূত্রের খবর, লোকসভার ফল পর্যালোচনা করতে গিয়েও তৃণমূল দেখেছে, বাড়ির প্রাপকদের থেকে একাংশ নেতা তোলা আদায় করেছেন। কোথাও গরিবের বদলে সম্পন্নকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। কাটমানি, তোলাবাজির সমস্যা মেনেই কড়া অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির নির্দেশ। প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন করা হতে পারে উপভোক্তাকে।
প্রকল্পে কত টাকা পেয়েছেন, কাউকে ‘কিছু’ দিতে হয়েছে কি না, খোঁজ নেওয়া হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy