অনিল স্বরূপ। ছবি: সংগৃহীত
আইন করে গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করা যায় না। অভিভাবকদেরই এ বিষয়ে তৎপর হতে হবে। শুক্রবার মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা সচিব অনিল স্বরূপ।
স্কুল শিক্ষা বিষয়ক এই আলোচনা সভায় ‘শিক্ষায় গৃহশিক্ষকতা’ নিয়ে কথা উঠলে অনিল বলেন, ‘‘আইন করে, সরকারের হস্তক্ষেপে গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করা যায় না। অভিভাবকেরা কেন একজোট হয়ে ভাবেন না যে তাঁরা সন্তানকে গৃহশিক্ষকের কাছে পাঠাবেন না?’’ এর আগে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ স্বামী বেদপুরুষানন্দ বলেন, ‘‘গৃহশিক্ষকতা এক ধরনের অভিশাপ। গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই গৃহশিক্ষকতা।’’
এ রাজ্যে বাম আমলে গৃহশিক্ষকতা বন্ধে উদ্যোগী হয়েছিল সরকার। গৃহ শিক্ষকতা করা যাবে না বলে তখন মুচলেকা দিতে হতো শিক্ষকদের। এই নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল বিস্তর। সম্প্রতি রাজ্য সরকার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের জন্য যে খসড়া আচরণবিধি তৈরি করেছে, তার ৬ নম্বর ধারায় ‘গৃহশিক্ষকতা করা যাবে না’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খসড়া আচরণবিধি নিয়ে শিক্ষকদের একাংশ বিরোধিতা করায় দিন কয়েক আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষকদের আগ্রহ থাকলেও গৃহশিক্ষকতা বন্ধে তাঁদের উদ্যোগী হতে দেখা যায় না! এ দিন কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা সচিব অবশ্য বিষয়টি অভিভাবকদের হাতেই ছেড়ে দিলেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক মহলে একাংশ কেন্দ্রীয় স্কুল শিক্ষাসচিবের সঙ্গে একমত। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকারের বক্তব্য, আইন করে গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করা যায় না। স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ থাকলে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ুয়াকে যেতে হয় না। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের স্কুলে পড়ানোর সদিচ্ছা এবং অভিভাবকদের সচেতনতা দুই-ই প্রয়োজন। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘সামাজিক সচেতনতা এবং শিক্ষকদের নিজস্ব মূল্যবোধের উপরই নির্ভর করছে গৃহশিক্ষকতা নির্মূল হওয়ার বিষয়টি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy