কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নে দলে বিতর্ক তুঙ্গে। সেই দ্বন্দ্বের রেশ কি পড়ছে বিধানসভায় সিপিএম বিধায়কদের কাজেও? অন্তত মঙ্গলবার বিধানসভার মধ্যে কংগ্রেসের বিক্ষোভ চলাকালীন সিপিএম বিধায়কদের দুই অংশের দু’রকম আচরণে সেই জল্পনাই ছড়িয়েছে!
প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের বিক্ষোভে সমর্থন জানাতে এ দিন ওয়েলে নেমে এসেছিলেন কয়েক জন সিপিএম বিধায়ক। কিন্তু সেই সময়ে নিজেদের আসনে বসে ছিলেন অন্য কয়েক জন। দু’জন আবার তার মধ্যে প্রশ্নোত্তর-পর্বেও যোগ দিয়েছেন। বিধায়কদের মধ্যে এমন ‘বিভাজন’ই গুঞ্জন তৈরি করেছে বিধানসভায়। সেই সময়ে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী অবশ্য সভায় ছিলেন না। সুজনবাবুদের বক্তব্য, বিষয়টি নিছকই সমন্বয়ের অভাব। এর মধ্যে কোনও শিবির ভাগাভাগি নেই।
মাদক পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগ দিয়ে মিথ্যা মামলায় তাঁদের বিধায়ক ও কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে, এই অভিযোগে এ দিন মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। কিন্তু স্পিকার রাজি হননি। তখন ওই বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী। এর পরেই কংগ্রেসের বিধায়কেরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সামিল হন তন্ময় ভট্টাচার্য, সুজিত চক্রবর্তীর মতো সিপিএম বিধায়কও। কিন্তু নিজেদের আসনে ছিলেন সিপিএমের রমা বিশ্বাস, জাহানারা খান, শ্যামলী প্রধান-সহ অনেকেই। স্পিকার শ্যামলী এবং রমাদেবীর নাম ঘোষণা করেন প্রশ্নের জন্য। তাঁরা বিক্ষোভের মধ্যেই প্রশ্ন করতে ওঠেন। তন্ময়বাবু তখন ওই দুই বিধায়ককে প্রশ্ন করতে বারণ করলেও তাঁরা থামেননি!
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান দু’দিন অধিবেশনে আসছেন না। ঘটনার সময়ে এ দিন সুজনবাবুও ছিলেন না। পরে তন্ময়বাবু বলেন, ‘‘বিধানসভায় আমাদের কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই চলার কথা। বিষয়টি আজ এমন হঠাৎ এসেছে, আমাদের দলের অনেকে হয়তো কী করা উচিত, বুঝতে পারেননি।’’ সুজনবাবুরও বক্তব্য, ‘‘বুঝতে না পেরে সমন্বয়ের অভাবে এমন হয়েছে। আর কিছুই না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy