আন্তঃরাজ্য সীমানায় আগেই সিসিটিভি বসানো হয়েছে। এ বার বসানো হচ্ছে ‘ওয়াচ-টাওয়ার’।—ফাইল চিত্র।
ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের উপর নজরদারি চালাতে অন্য রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার সীমানায় ‘ওয়াচ-টাওয়ার’ বসানোর কাজ শুরু করছে রাজ্য সরকার। আন্তঃরাজ্য সীমানায় আগেই সিসিটিভি বসানো হয়েছে। এ বার বসানো হবে ‘ওয়াচ-টাওয়ার’। নবান্নের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই অসম-বাংলা সীমানার বক্সিরহাটে পাঁচটি টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বিহার-বাংলা সীমানায় কিষানগঞ্জ এবং ঝাড়খন্ড-বাংলা সীমানায় ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হবে। ‘কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে টাওয়ার বসানো হচ্ছে।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের চোপড়ায় দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে তুমুল গোলমাল হয়। ভাঙচুর করা হয় স্কুলে। গুলি চলে। ছাত্রের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বহিরাগতরা হামলা চালিয়েছে। অন্য রাজ্য থেকে লোক এসে গোলমাল পাকিয়েছে। জঙ্গলমহলে সাম্প্রতিক আদিবাসীদের মিছিলকে কেন্দ্র করে একই অভিযোগ ওঠে। ঝাড়খন্ডের লোক এসে আদিবাসীদের উস্কানি দেয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়।
উত্তরবঙ্গের এক শীর্ষ কর্তা জানান, বক্সিরহাট ব্লকটি অসম সীমানা সংলগ্ন। ১৫টি টাওয়ার এখানে বসানোর কথা। আপাতত পাঁচটির কাজ শুরু হয়েছে। গুলি করলে যাতে না লাগে তার জন্য প্রতিটি টাওয়ার ১০ মিটার উঁচু হবে। লোহার কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হবে এই টাওয়ার। টাওয়ার পিছু খরচ হবে আনুমানিক লক্ষাধিক টাকা। পুলিশ প্রহরা থাকবে প্রতিটি টাওয়ারে।
নবান্নের দাবি, উঁচু জায়গা থেকে নজরদারি করা সহজ। তাই রাজ্য সড়কে নজরদারির জন্য ৪০টির মতো টাওয়ার বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে রাজ্য ট্রাফিক দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy