প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝ। বাধা কাটিয়ে বইতে শুরু করেছে উত্তরে হাওয়া। আর এই সুযোগেই কয়েক দিনের বিরতির পর ফের দাপিয়ে ব্যাট করতে শুরু করেছে শীত। দাপট এতটাই যে, পাহাড় থেকে সমতল, সব জায়গাতেই হাড় হিম করা ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে যেন এক রাতের ব্যবধানেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার কলকাতা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম ছিল)। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ডিগ্রি কম)। আজ, শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও এক ডিগ্রি কমে হয়েছে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর জানিয়েছে, কলকাতায় আজই মরসুমের শীতলতম দিন। শনি ও রবিবার কলকাতা ছাড়া বিভিন্ন জেলায় পারদ নামতে পারে আরও ৪-৬ ডিগ্রি পর্যন্ত। শনিবার ২০ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি করেছে আলিপুর।
আবহবিজ্ঞানের পরিভাষায়, শীতকালে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রি বা তার নীচে পৌঁছয় এবং তা যদি স্বাভাবিকের থেকে ন্যূনতম পাঁচ ডিগ্রি কম হয়, সেটাকেই বলে শৈত্যপ্রবাহ। রাতের তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রিতে পৌঁছয় ও সেই অবস্থায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যদি স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি কম থাকে, তা হলে বলা হয় শীতল দিন। বর্ষশেষে এই দু’টিরই সম্ভাবনা প্রবল বলে জানাচ্ছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: সম্পত্তির ভাগে নেই স্ত্রী-র নাম, কুশল পঞ্জাবীর মৃত্যুতে দানা বাঁধছে রহস্য
শুক্রবার আসানসোলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়ায় ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্ধমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিঘায় ৯.৩ এবং দার্জিলিঙে ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
আরও পড়ুন: অর্থনীতি বেহালই, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক || বৈঠকে বসবেন নির্মলা
এ দিকে, শুক্রবার শিলিগুড়িতে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। কালিম্পং, দার্জিলিঙেও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে সেখানে তুষারপাতের প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তবে বছরের শেষের দিকে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা থাকলেও, নতুন বছরের শুরুতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে ঠান্ডা থেকে কিছুটা রেহাই পেতে পারেন মানুষ। নতুন বছরের শুরুতে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে, জানিয়েছে আলিপুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy