মালয়েশিয়ার পর্যটকদের নিজেদের রাজ্যে টানতে তামিলনাড়ু, কেরল, রাজস্থানের পর্যটন বিভাগ সেখানে রোড-শো করে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ করে না। সম্প্রতি কলকাতায় এসে এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মালয়েশিয়া পর্যটন দফতরের কর্তা সুলেমান সুইপ। বলেন, ‘‘আপনাদের এখানে এত কিছু আছে দেখার। কিন্তু তার মার্কেটিং হয় না, প্রচার হয় না।’’
শুধু রোড শো নিয়ে বাংলার বিরুদ্ধে অনীহার অভিযোগ করেই থামছেন না মালয়েশিয়ার পর্যটন-কর্তারা। কলকাতা থেকে মালয়েশিয়ার জোহারবারু শহরের উড়ান বন্ধের কথাও তোলেন তাঁরা। কলকাতা-জোহারবারু উড়ান চালু হয়েছিল গত বছরের ২৮ নভেম্বর। তার মাত্র দু’মাস পরেই, এ বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি এয়ার এশিয়া সেই উড়ান তুলে নেয় পর্যাপ্ত যাত্রীর অভাবে।
মালয়েশিয়া ট্রাভেল এজেন্ট সংগঠনের প্রধান গণেশ রাম জানান, কলকাতা থেকে জোহারবারুর যাত্রী মিলছিল। কিন্তু জোহারবারু থেকে কলকাতায় আসার যাত্রী হচ্ছে না। মালয়েশিয়ায় কলকাতা তথা বাংলা সে-ভাবে নিজেদের তুলে ধরছে না বলেই সেখানকার পর্যটকেরা এখানে আসতে আগ্রহী হচ্ছেন না। ‘‘ভারত সরকার বা পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি পর্যটনকে আরও গুরুত্ব দিত, অনেক মালয়েশীয় এ দেশে ঘুরতে আসতেন। তা হলে ফিরতি রুটেও যাত্রী পেত এয়ার এশিয়া,’’ বললেন গণেশ।
রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব অবশ্য জানান, আমরা বাংলাদেশ, ব্রাসেলসে তাঁরা রোড শো করেছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক পর্যটক এ রাজ্যে আসেন। ‘‘তবে সেখানে পৌঁছে রাজ্যের পর্যটনকে তুলে ধরা হয় না। এ বার সেই সব দেশে পৌঁছনোর পরিকল্পনা আছে,’’ বলেন মন্ত্রী।
মালয়েশিয়ার পর্যটনের প্রচারে আসা ট্রাভেল এজেন্ট সংগঠনের সঙ্গে ছিলেন মালয়েশিয়ার অন্যতম পর্যটনকর্তা সুলেমান। বাংলার সঙ্গে সঙ্গে ভারত সরকারের বিরুদ্ধেও অনুযোগ আছে তাঁদের। গণেশ বলেন, ‘‘মালয়েশিয়ায় ভারতের পর্যটন মন্ত্রকের কোনও দফতর নেই। সিঙ্গাপুরে আছে। আমরা প্রতি বছর কুয়ালা লামপুরে দু’বার পর্যটন মেলার আয়োজন করি। এই তো দু’সপ্তাহ আগেই সেই মেলায় আট কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসা হয়েছে। এক লক্ষ ২০ হাজার দর্শক এসেছিলেন। সেখানে ভারতের নামমাত্র ছোট্ট একটি স্টল ছিল।’’
সুলেমান জানান, চলতি বছরে পর্যটক বাড়াতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy