প্রতিবাদ: যুব তৃণমূলের মিছিল। মঙ্গলবার শহরে। —নিজস্ব চিত্র।
পেট্রল ও ডিজেলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীর সরকারের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দল। তেলের দামের উপরে তাদের ভাগের করে ছাড় দিয়ে রাজ্য সরকারগুলো কেন আম জনতাকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে না, সেই প্রশ্নে পরস্পরের দিকে আঙুল তুলছে তৃণমূল ও বিজেপি। এরই মধ্যে দেশের মধ্যে একমাত্র বাম-শাসিত কেরল সরকার জানিয়েছে, তারা তেলের দাম থেকে বাড়তি কর নেবে না। যার জেরে নতুন মাত্রা পেল তেলের উপরে করছাড়ের বিতর্ক।
কেরলের অর্থমন্ত্রী তথা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য টমাস আইজ্যাকের বক্তব্য, ‘‘জনমতের থেকে এমন সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে আগে কোনও কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করেনি। কেরলে আমরা তেলের দামের উপরে কর বাড়াইনি। কেন্দ্র তেলের দাম বাড়ালে রাজ্যের যে বাড়তি করের ভাগ পাওনা হয়, আমরা সেটাও নেব না।’’ রাজ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা আজ, বুধবার। সেখানেই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।
তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ দিন গাঁধীমূর্তির নীচে ধর্না-অবস্থানের শেষে তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়, রাজ্য কেন তাদের করের ভাগ কমিয়ে দিচ্ছে না? অভিষেক বলেন, ‘‘বিজেপির হাতেই তো এতগুলো রাজ্যের সরকার আছে। তারা কেন করছাড় দিচ্ছে না?’’ নবান্ন সূত্রের খবর, তেলের বর্ধিত দাম আরও কিছু দিন বহাল থাকলে রাজ্যের প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা বাড়তি আয় হতে পারে। এই প্রশ্নেই বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ আবার পাল্টা বলেছেন, ‘‘কেন্দ্র যা পদক্ষেপ করার, করছে। কিন্তু মানুষকে বিভ্রান্ত না করে রাজ্য সরকার তো তাদের ভাগের কর এবং সেস ছেড়ে দিলেই পারে। আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও!’’
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিরোধী থাকার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেলের দাম বাড়লেই রাজ্য সরকারের করছাড়ের প্রশ্ন তুলতেন। বাম সরকার সেই ছাড়় দিয়ে দেখিয়েওছিল। তেলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে কাল, বৃহস্পতিবার বেলা ১টা থেকে আধঘণ্টার ‘চাক্কা জ্যামে’র ডাক দিয়েছে সব কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, তাকে সমর্থন করেছে ১৭ বাম দল। সে দিনই জেলায় জেলায় যুব কংগ্রেসের অবস্থান, পরবর্তী কর্মসূচি দিল্লিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy