কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন বিভাগের একটি ল্যাবরেটরিতে তথ্য জালিয়াতি চলছে বলে অভিযোগ আনলেন এক গবেষক। সোমবার তিনি উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্য (শিক্ষা)-কে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন।
অভিযোগকারী ওই বিভাগের শিক্ষিকা অনিন্দিতা উকিলের গবেষণাগারে পিএইচ ডি করছেন। গত সপ্তাহে তথ্য জালিয়াতির অভিযোগ এনে সেই গবেষক জানিয়ে দেন, এই পরিস্থিতিতে তিনি আর ওই বিভাগে পিএইচ ডি করবেন না। গবেষকের দাবি, ‘‘ওই গবেষণাগারে নিয়মিত তথ্য জালিয়াতি করা হয়।’’
সোমবার ওই গবেষক জানান, সম্প্রতি ‘জার্নাল অব বায়োলজিক্যাল কেমিস্ট্রি’-তে প্রকাশের জন্য একটি গবেষণাপত্রের খসড়া নিয়ে তাঁর গাইড অনিন্দিতাদেবীর সঙ্গে সংঘাত বাধে। গবেষকের অভিযোগ, যে-তথ্য ওই গবেষণাপত্রে ব্যবহার করা হয়েছে, তা ঠিক নয়। যথাযথ তথ্য দিয়ে ফের গবেষণাপত্রটি লেখার পক্ষে ছিলেন ওই গবেষক। কিন্তু তাঁর বক্তব্য শোনা হয়নি। ‘‘আমি জার্নাল অব বায়োলজিক্যাল কেমিস্ট্রির কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি,’’ বললেন ওই গবেষক।
এখানেই শেষ নয়। এর আগে একই বিষয়ে প্রকাশিত দু’টি গবেষণাপত্রের সহ-লেখক ছিলেন ওই গবেষক। তিনি সেই প্রকাশককে সংশ্লিষ্ট দুই গবেষণাপত্র থেকে তাঁর নাম সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বলে গবেষকের দাবি। ওই গবেষণাগার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-সহ যে-সব সংস্থার আর্থিক অনুদান পায়, সেই সংস্থাগুলিকেও এই তথ্য জালিয়াতির বিষয়টি জানিয়েছেন ওই গবেষক। জানানো হয়েছে বালিগঞ্জ থানাকেও।
অনিন্দিতাদেবী অবশ্য বলেন, ‘‘ওই গবেষকের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ আমার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে আমি সব জানাব।’’ এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় তিনি আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথাও ভাবছেন বলে জানান অনিন্দিতাদেবী।
এ দিন বারবার চেষ্টা করেও এই বিষয়ে উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy