শেখ হাসিনা।
শেষ মুহূর্তে যন্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিল না দিল্লি। শনিবার অণ্ডালে তাই যান্ত্রিক সহযোগিতা ছাড়াই নামল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিমান। তবে যান্ত্রিক সহায়তা না মিললেও অবতরণে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই বিমানবন্দর সূত্রের খবর।
দৃশ্যমানতা কম থাকলে যন্ত্রের সাহায্যে বিমানকে রানওয়েতে নামিয়ে আনা হয়। এর নাম ‘ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম’ (আইএলএস)। সাধারণত ২৫০০ মিটার দৃশ্যমানতা থাকলে কোনও যন্ত্রের সাহায্য ছা়ড়াই অবতরণ করতে পারেন পাইলট। আইএলএস থাকলে তা ৮৫০ মিটার দৃশ্যমানতায় অবতরণ করা সম্ভব। অণ্ডালে আইএলএস বসানো হলেও তা ব্যবহার করার ছাড়পত্র ছিল না। হাসিনার সফরের কথা মাথায় রেখে দ্রুত সেই অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা শুরু হয়।
বিমানবন্দরের খবর, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর নির্দেশ মতো শুক্রবার এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটকে পাঁচ বার আইএলএস ব্যবহার করিয়ে অবতরণ করানো হয়। পঞ্চম বার আইএলএস ঠিক মতো কাজ করছে বলে পাইলট জানান। তা শুনেই বিমানবন্দরের কর্তারা আশা করেছিলেন, ছাড়পত্র মিলতে পারে। কিন্তু গোল বাধে পাইলটের পাঠানো একটি রিপোর্টে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ওই পাইলট ডিজিসিএ-কে জানিয়েছেন, বিমানকে অবতরণের জন্য সাহায্য করা একটি যন্ত্র (প্রিসিশন অ্যাপ্রোচ পাথ ইন্ডিকেটর) যথাযথ নেই। সে কথা জানার পরেই আইএলএস ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি ডিজিসিএ।
বিমাবন্দরের খবর, ইদানীং প্রায়ই দক্ষিণবঙ্গে আকাশ কালো করে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে, দৃশ্যমানতাও কমছে। তাই আইএলএস ব্যবহারের কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু এ দিন রোদ ঝলমলে আকাশ হওয়ায় দৃশ্যমানতা ছিল ৪ হাজার মিটার। ফলে কোনও সমস্যা হয়নি। বিকেলে হাসিনার উ়ড়ানের সময় দৃশ্যমানতা ছিল সাড়ে পাঁচ হাজার মিটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy