আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তির ‘কাট অব মার্কস’ বা ন্যূনতম যোগ্যতামান কমিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ।
আসন খালি থাকায় ক্ষোভ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কাট অব মার্কস’ কমানো হবে কেন? তাঁর বক্তব্য, ভর্তির জন্য তো প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। তা হলে আবার ‘কাট অব মার্কস’ কেন? দু’টো মাপকাঠি কেন? ‘‘পরীক্ষা না-নিলে ‘কাট অব মার্কস’-এ জোর দেওয়া হোক,’’ শুক্রবার বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার দাবি, মান বজায় রাখতেই ভর্তির ক্ষেত্রে ‘কাট অব মার্কস’ বেশি রাখা হয়। কিন্তু এই ব্যবস্থার ফলে অনেক ছাত্রছাত্রী ভর্তির সুযোগই পাচ্ছেন না। প্রেসিডেন্সিতে এ বছর প্রায় ৩০০ আসন খালি পড়ে আছে। কেন এত আসন খালি, ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে উচ্চশিক্ষা দফতরও।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রেসিডেন্সির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদার্থবিদ্যা বা রসায়নে আসন ফাঁকা থাকা চিন্তার ব্যাপার। ‘‘ছেলেমেয়েরা আমাদের কাছে জানতে চাইছে, আসন খালি থাকা সত্ত্বেও কেন তারা ভর্তি হতে পারছে না। এ বিষয়ে জানার অধিকার আমাদের আছে,’’ বলেন পার্থবাবু।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী সপ্তাহে তিনি প্রেসিডেন্সির উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। শুধু শূন্য আসন নয়, প্রেসিডেন্সির অন্য যে-সব বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই ব্যাপারেও আলোচনা হবে। উপাচার্য চলতি সপ্তাহে বিকাশ ভবনে গিয়েও শিক্ষামন্ত্রীর দেখা পাননি। উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে এ দিন আবার কিছু পোস্টার পড়েছে প্রেসিডেন্সির ক্যাম্পাসে।
লোহিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল জমানায় অন্তত আট জন উপাচার্যকে কার্যকাল শেষ হওয়ার আগেই দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে। ‘‘শিক্ষামন্ত্রী প্রেসিডেন্সির উপাচার্যকে আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রেখে দেখা করেননি। এটা খুব অন্যায়,’’ বলেছেন ওই বিজেপি নেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy