তুষারপাতের মধ্যে নিজস্বী তোলার হিড়িক। ছবি: অরিন্দম দত্ত।
সমতলে শোনা যাচ্ছে শীতের বিদায়ঘণ্টা। কিন্তু শেষবেলাতেও ফের জমজমাট দার্জিলিং। তবে ফেলুদার রোমাঞ্চে নয়, আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পড়া বরফগুঁড়োর আনন্দে।
মঙ্গলবার ঝিরঝিরে তুষারপাত হয়েছে দার্জিলিঙে। আর আকাশ থেকে ঝরে পড়া সেই বরফগুঁড়ো নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছেন পাহাড়বাসী থেকে পর্যটক— সকলেই। বরফ পড়া শুরু হতেই হোটেল-ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন সকলে। ম্যাল-এ রীতিমতো উৎসবের ছবি ধরা পড়ে। বরফের গোলা বানিয়ে খেলতে শুরু করে একদল কচিকাঁচা।
তবে পাহাড় যখন চুটিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করছে, ঠিক সেইসময় উল্টো ছবি ধরা পড়েছে শহর কলকাতায়। হাওয়া বইলে দিনের বেলা শীত অনুভূত হচ্ছে বটে। তবে রাত বাড়লেই শুরু হচ্ছে অস্বস্তি। লেপ-কম্বল তো দূর, পাতলা চাদরও রাখা যাচ্ছে না গায়ে।
আরও পড়ুন: অযোধ্যায় ‘অ-বিতর্কিত’ জমি ফেরাতে কেন্দ্রের আর্জি সুপ্রিম কোর্টে
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি করেছে ফেসবুক! অর্ধেক অ্যাকাউন্টই ভুয়ো, দাবি মার্কের বন্ধুর
পাহাড় ও সমতলের আবহাওয়ায় এমন বৈপরীত্যের জন্য পশ্চিমি ঝঞ্ঝাকেই দায়ী করছেন আবহবিদরা। তাঁদের দাবি, ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে ইরান, আফগানিস্তান হয়ে কাশ্মীরের উপর দিয়ে ভারতে একের পর এক পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢোকে। হিমালয়ের উপর দিয়ে পূর্ব দিকের নেপাল-ভূটান হয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা তাদের। এই মুহূর্তে দার্জিলিঙের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে একটি ঝঞ্ঝা। জলীয় বাষ্পে পরিপূর্ণ হওয়ায়, তার প্রভাবেই শেষবেলায় ঠাণ্ডা বেড়েছে পাহাড়ে। বরফ পড়েছে। তবে বুধবার থেকে তুষারপাত কমতে পারে। ডিসেম্বরের শেষে দার্জিলিঙে যে তুষারপাত হয়েছিল, তাও এই রকম একটি ঝঞ্ঝার কারণে হয়েছিল বেল জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy