প্রতীকী ছবি।
মহিলা নাগরিকদের রক্ষার দায়িত্ব তাঁদের। কিন্তু রাজপথে ‘কর্তব্যপালন’ করা নিয়েই বিতর্কে জড়িয়েছে কলকাতা পুলিশের প্রমীলা বাহিনী।
শুক্রবার ধর্মতলায় আচমকাই বিক্ষোভ দেখাতে হাজির হন শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (এসএসকে) এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র (এমএসকে)-এর শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেই বিক্ষোভ সরাতে গিয়ে ধস্তাধস্তিও হয়। মহিলা পুলিশদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে মহিলা বিক্ষোভকারীদের পোশাক অবিন্যস্ত হয়ে পড়ে। কয়েক জন মহিলার শাড়ি ও ব্লাউজ ধরে টানতেও দেখা গিয়েছে কয়েক জন মহিলা পুলিশকে। এই ঘটনাই বিতর্ক তৈরি করেছে।
প্রশ্ন উঠেছে, মহিলা পুলিশ হলেও মহিলা বিক্ষোভকারীদের পোশাক ধরে টানা যায় কি? বিক্ষোভ সামলানোর প্রশিক্ষণ তো পুলিশের থাকে। তা হলে মহিলা পুলিশেরা বিক্ষোভ সামলাতে গিয়ে এমন বিতর্কে জড়ালেন কেন?
লালবাজারের কর্তারা অবশ্য ওই মহিলা পুলিশদের কোনও দোষ দিচ্ছেন না। তাঁদের ব্যাখ্যা, ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারা আগাম অনুমতি ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। বিক্ষোভকারীদের সরাতে ধস্তাধস্তি হয়। তখনই কয়েক জনের শাড়ির আঁচল খসে যায়। ‘‘পুলিশ হলেও ওঁরা মহিলা। কোনও মহিলার সম্ভ্রমহানি ওঁরা কখনই করবেন না,’’ মন্তব্য লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তার।
যদিও পুলিশেরই কেউ কেউ মনে করছেন, এ ভাবে বিক্ষোভ সরানো বাহিনীর একাংশের ‘অতি-সক্রিয়তা’র ফল। গোলমাল সামলানোর ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ ওই মহিলা পুলিশদের দেওয়া উচিত।
লালবাজার সূত্রের খবর, যে কোনও ধরনের বিক্ষোভ বা মিছিলের আগে পুলিশকর্মীদের নির্দিষ্ট নির্দেশ বা ‘ব্রিফিং’ থাকে। কী ভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে, তা বুঝিয়ে দেন পদস্থ কর্তারা। কিন্তু শুক্রবারের বিক্ষোভকারীদের তরফে কোনও মিছিলের খবর পুলিশকে জানানো হয়নি। ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সল্টলেকে বিকাশ ভবন অভিযান করার কথা থাকলেও আচমকা ধর্মতলায় চলে আসেন। প্রথমে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে তাঁদের বিক্ষোভ করতে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তাঁরা আচমকা ডোরিনা মোড় অবরোধ শুরু করলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মহিলা থাকায় জরুরি ভিত্তিতে তড়িঘড়ি বিভিন্ন জায়গা থেকে মহিলা পুলিশ জোগাড় করে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। ফলে তাঁদের ‘ব্রিফিং’ সে ভাবে ছিল না। তার জেরেই সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy