প্রতীকী ছবি।
কখনও রাস্তায় নেমে আন্দোলন তো কখনও খোঁচা মেরে বিবৃতি। ডেঙ্গিতে পরপর মৃত্যুর প্রেক্ষিতে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে বিরোধী শিবির। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ডেঙ্গি নিয়ে বিধানসভার চলতি অধিবেশন কক্ষে সরব হতে পারেন বিরোধী সদস্যেরা। এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে জোর কদমে তথ্য পেশের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সরকারি স্তরে।
বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ব্যর্থ। সেই অভিযোগ যে ঠিক নয়, তথ্যের সাহায্যে স্বাস্থ্য প্রশাসন সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজ়িজ় কন্ট্রোল প্রোগ্রামের (এনভিবিডিসিপি) পোর্টাল বলছে, ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কর্নাটক। পশ্চিমবঙ্গ দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লিতে ডেঙ্গির তথ্য পাঠাচ্ছে না। তাই পোর্টালে বাংলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যার কোনও উল্লেখ নেই। নবান্ন জানিয়েছে, চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। স্বাভাবিক ভাবে সারা দেশের নিরিখে তথ্য-অস্ত্র কার্যকর হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সারা বিশ্বের মানদণ্ডে সেই তথ্যই আবার রাজ্যের অনুকূলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ হল, ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে মৃতের হার এক শতাংশের নীচে রাখতে হবে। সারা বিশ্বে যেখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ২.৫ শতাংশ, এ রাজ্যে আক্রান্তের নিরিখে মৃত্যুহার সেই তুলনায় খুবই কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেল্থ বুলেটিনে প্রকাশিত তথ্য বলছে, বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ হাজার ৮২০। মৃত ১০৭। ফিলিপিন্সে সাড়ে তিন লক্ষ ৪৮ হাজার আক্রান্তের মধ্যে ১৩৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মালয়েশিয়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক লক্ষ চার হাজার, মৃত ১৫২। তথ্যের পাশাপাশি চিকিৎসা পদ্ধতি, পুরসভা স্তরে পদক্ষেপের মতো প্রশাসনিক সক্রিয়তাও রাজ্যের পক্ষে রয়েছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
শেষ পর্যন্ত ডেঙ্গি নিয়ে তথ্য-যুদ্ধে বাংলা আক্ষরিক অর্থেই ‘বিশ্ব বাংলা’ হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy