ছ’মাসের মধ্যেই ফিরবেন বলে মহাকরণ ছেড়ে নবান্নে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনটা ছিল ২০১৩-র ৫ অক্টোবর। কিন্তু ১৫ মাস কেটে যাওয়ার পরে জানা যাচ্ছে, সংস্কারের পরিকল্পনাতেই নাকি গোড়ায় গলদ! মহাকরণের খবর, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কোথায় বসবেন, সেটাই চূড়ান্ত হয়নি। তাই তাঁর ঘর এবং আসবাবের নকশা চূড়ান্ত করা যায়নি। সেই কারণে গোটা সংস্কার প্রক্রিয়াটাই থমকে গিয়েছে!
সোমবার মহাকরণে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কার্যত সেটাই স্বীকার করে নিলেন সংস্কারের দায়িত্বে থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থপতি বিভাগের প্রধান মধুমিতা রায়। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কোথায় বসবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। এক বার শোনা গেল, মহাকরণের ঐতিহ্য বজায় রেখে তিনি দোতলাতেই বসবেন। আবার শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি তেতলার কোনও ঘরে বসবেন। সরকার এখনও আমাদের স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। তাই সংস্কারের সবিস্তার নকশা চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না।” মধুমিতাদেবী জানান, বিষয়টি তিনি সরকারকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রসচিব বলেছেন, খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।”
বস্তুত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। তবে এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পরে তিনি শুধু বলেন, “সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কাজটা আরও দ্রুত গতিতে করার জন্যই এই বৈঠক।”
এ দিনের বৈঠকের পরে জল্পনা শুরু হয়ে যায়, মুখ্যমন্ত্রী খুব তাড়াতাড়িই মহাকরণে ফিরে আসতে পারেন। এই বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে চাননি রাজ্য প্রশাসনের কোনও শীর্ষ কর্তাই। তবে মহাকরণ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী যেখানেই বসুন না কেন, তাঁর ঘরটি হবে ৩০ ফুট লম্বা আর ১৭ ফুট চওড়া। মন্ত্রিসভা বৈঠকের ঘরটিও হবে তাঁর কক্ষের লাগোয়া। কাছেই থাকবে অর্থমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের ঘর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy