জগন্নাথ দর্শনে গিয়ে লক্ষ্মী লাভ!
সচরাচর জোটে না। কিন্তু শ্রীজাতর গপ্পোটা অন্য রকম হল। পুরী যাওয়ার পথে রেলের কামরায় হঠাৎ পরিচয়। দেবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। কথার আলাপে আসে গান। এতটাই গান পাগল তিনি যে, কলকাতার দক্ষিণে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা-সহ স্টুডিয়ো খোলার স্বপ্নটা তুলে ধরেন শ্রীজাতর সামনে। দায়িত্ব নিতে বলেন তাঁকে।
কবিতা লেখার সঙ্গে অ্যাঙ্করিং, স্ক্রিপ্ট লেখা, মির্জা গালিব নিয়ে অ্যালবাম... শ্রীজাত বেশ অনেক দিন ধরেই ঝুঁকছিলেন গানের দিকে। বাড়ি নয়, তিনিও খুঁজছিলেন এমন এক জায়গা যেখানে শব্দ আর শান্তি, সুরের খেলায় মেতে উঠবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। নতুন স্টুডিয়োর নাম রেখেছেন ‘গানবাজনা’।
‘‘ ‘গানবাজনা’ সে রকমই একটা জায়গা, যা কি না আমার অফিস হিসেবেও কাজ করবে। তার সঙ্গে সঙ্গে গান নিয়েও থাকা হবে,’’ বললেন শ্রীজাত।
ইদানীং ফেসবুকে বা ইউটিউবে নিজের গান আপলোড করছেন তিনি। কখনও ‘এক আকেলা ইস শহর মে’ কখনও ‘ও যে মানে না মানা’।
বললেন, ‘‘ইচ্ছে আছে গজল নিয়ে কিছু কাজ করার। সেখানে মিউজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্টাই আলাদা হবে। স্টুডিয়ো থাকলে মিউজিক নিয়ে কাজ করার সুবিধাও পাব। অন্য মিউজিশিয়ানদের কাজও শুনতে পাব। ’’
জুলাইতেই একটা অ্যালবাম রিলিজের মাধ্যমে ‘গান বাজনা’র উদ্বোধন হবে। বিশ্বাস করেন, যে ভাবেই হোক মিউজিক প্রমোট করে যেতে হবে। তা হলে ঊষা উত্থুপের মতো এ বার শ্রীজাতর স্টুডিয়ো?
‘‘সে রকমটাই। আসলে গান লেখা কমে গেছে আমার। সব হিন্দির অনুকরণ। কোথায় লিখব? শব্দ নয়, নাচের তাল থাকলেই হল,’’ আফসোস শ্রীজাতর গলায় স্পষ্ট। যে লেখার জন্য চাকরি ছেড়েছিলেন। আপাতত সেই লেখায় আরও অনেক বেশি করে সময় দিতে চান তিনি।
পয়লা বৈশাখে সিগনেট প্রেস থেকে বেরোচ্ছে তাঁর নতুন কবিতার বই। খুব শিগগিরি ‘গান বাজনা’য় বসেই উপন্যাসের জন্য কলম ধরবেন কবি। এই মুহূর্তে আবার এক নতুন ইনিংসে নামার জন্য ‘কলম’ হাতে ‘শ্যাডো’ করছেন শ্রীজাত!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy